চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে গুলি করে হত্যার ৪৮ ঘন্টা পরেও ইব্রাহিম খলিল বাবুর মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্নেল নাজমুল হাসান।
এদিকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ইব্রাহিম খলিল বাবুর মরদেহ ফেরত না পাওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে গ্রামবাসীর মনে। আর নিহতের স্বজনেরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, গুলি চালিয়ে হত্যার পরপরই আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছি। মরদেহ ফেরত পেতে আমরা চিঠিও দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ সনাক্তের জন্য বিএসএফএর কাছে বাবুর ভোটার আইডি কার্ড পাঠানো হয়েছে। বিএসএফ লাশ ফেরত দেওয়ার জন্য আইনি পক্রিয়া শুরু করেছে। তবে কখন কোথায় দেবে সেটা এখনও জানায়নি।
নিহত বাবুর পিতা নুরুল ইসলাম বলেন, প্রকাশ্য দিবালকে আমার ছেলেকে তো তারা গুলি করে মেরেছে। এখন লাশ ফেরয় দিতেও তারা টালবাহানা করছে। যানিনা কখন দেবে। ওপর ওয়ালার কাছে বিচার দিলাম।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে বাবুসহ আরও ৪/৫ জন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের গালার মাঠে ঘাস কাটার জন্য যান। একপর্যায়ে সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেইন পিলার পার হয়ে ভারত অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে বাবু।
পরে ভারতের ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এ সময় বিএসএফ এর ছোঁড়া গুলিতে ইব্রাহিম খলিল বাবু ঘটনাস্থলে নিহত হন।
ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘাস কাটতে যাওয়া লোকজন ফিরে এসে ইব্রাহিম বাবুর পরিবারকে জানান, বিএসএফের গুলিতে বাবু মারা গেছেন। আর বাবুর লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:








