চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ২০১৭ সালের বহুল আলোচিত তথাকথিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’–এর ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামানকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন চৌধুরীর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইদিন সকালে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনও আদালত অনুমোদন করেন।
নোয়াখালী জেলা কারাগার থেকে আসাদুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযানের সময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে (সিটিটিসি) এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল ওদুদ জানান, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্য ষড়যন্ত্র করে শিবগঞ্জের একটি বাড়িতে ‘জঙ্গি অভিযানের নামে সাজানো নাটক’ পরিচালনা করেন। সেখানে স্থানীয় মুদি দোকানি আবুল কালাম আবুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে হেলিকপ্টারে করে আরও তিনটি লাশ এনে ঘটনাস্থলে ফেলা হয় এবং তাদের শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ঘটনার প্রায় সাত বছর পর, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর নিহত আবুল কালামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৎকালীন সিটিটিসির এডিসি আসাদুজ্জামানসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়।
এদিকে, মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও বিচারিক প্রক্রিয়ার জটিলতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের খুঁজে না পেয়ে নিরীহ ব্যক্তিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হাজিরা ও মামলার ঘানি টানতে গিয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সাজানো এই মামলার হাত থেকে নিরপরাধদের মুক্তি এবং প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনাই এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন:








