পটুয়াখালীর মহিপুরে এক গৃহবধূর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দুজন প্রতিবেশী নারীকে মারধর ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম আল আমিন ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ব ডালবুগঞ্জ গ্রামের ওই গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় কর্মরত। তার অনুপস্থিতিতে আল আমিনের সঙ্গে গৃহবধূর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিতভাবে তিনি ওই বাড়িতে যেতেন।
সোমবার (১ জুলাই) রাতে গৃহবধূর বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আল আমিনকে দেখে ফেলেন প্রতিবেশী রেজবানু। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আল আমিন তার সহযোগীদের নিয়ে রেজবানু ও তার মা গোলবানুর ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গোলবানুর পায়ে মারাত্মক জখম হয় এবং রেজবানুর হাত ও পায়ে আঘাত লাগে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
রেজবানু জানান, “আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম, তিনি ওই বাড়ি থেকে এত রাতে কেন বের হচ্ছেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফুল ইসলাম আল আমিন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কারও সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত নই, কাউকে মারধরও করিনি।”
মহিপুর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, “বিষয়টি আগে জানা ছিল না। অভিযোগের সত্যতা পেলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার বলেন, “এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন:








