সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির অভিযোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ জুলাই, ২০২৫ ১৯:১৫

শেয়ার

পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির অভিযোগ
ছবি বাংলা এডিশন

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ছেঁড়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আব্দু ছালাম (৪৩) নামের এক কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁশিয়াখালী স্কুল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দু ছালাম রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা এলাকার বাসিন্দা। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে বারবাকিয়ার নোয়াখালী পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। চার সন্তানের জনক ছালাম কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় অন্ধকারে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় আব্দু ছালাম অসাবধানতাবশত রাস্তায় পড়ে থাকা ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর এলাকায় চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। আমরা চাই, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ ১৫-২০ দিন ধরে ওই এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে ছিল। বিষয়টি একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তারা বলছেন, অবহেলার কারণেই একজন নিরীহ কৃষকের জীবন গেছে।

এক প্রতিবাদকারী বলেন, “এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি চরম গাফিলতির ফল। এর দায় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ এড়াতে পারে না। দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ পেকুয়া জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) খন্দকার মুহাম্মদ ফিরোজ কবির। তিনি বলেন, “যে তারটির কথা বলা হচ্ছে, সেটি ছিল ৬,৩৫০ ভোল্টের লাইন। কেউ আমাদের এ বিষয়ে অবগত করেনি। আমাদের কোনো অবহেলা নেই। আমাদের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবিতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।



banner close
banner close