সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

টাঙ্গাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে নৃশংস হত্যা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪৮

আপডেট: ২ জুলাই, ২০২৫ ১৯:২৮

শেয়ার

টাঙ্গাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে নৃশংস হত্যা
ছবি বাংলা এডিশন

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পূর্ব শত্রুতার জেরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন হওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম জাহাঙ্গীর মণ্ডল (৪৫)। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী শেফালী বেগম। রক্তাক্ত এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিহত জাহাঙ্গীর মণ্ডল উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের মৃত নাজিম মণ্ডলের ছেলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে নিহতের চাচাতো ভাই নজরুল কবির ছেলে সেনা সদস্য আরিফুল ইসলাম ওরফে হাসিনুর, তারা মণ্ডলের ছেলে সুজা মণ্ডল ও জামাল মণ্ডল, ফরহাদ মণ্ডল ও তার ছেলে হৃদয় ওরফে বসু মণ্ডল, বাবু ফকিরসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গতকাল (১ জুলাই) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নিহত জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম সিএনজিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নলিন বাজার পার হয়ে শাখারিয়া স্লুইসগেট এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। স্ত্রী শেফালী বাধা দিলে তাকেও নির্মমভাবে মারধর করে তারা। এরপর জাহাঙ্গীরকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে তাকে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবারের দাবি, এলাকাবাসীর মাঝে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেটে ছিলেন। এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় একাধিক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হলে তারা জাহাঙ্গীরকে পুলিশের সোর্স সন্দেহ করত। এতে করে তার বিরুদ্ধে শত্রুতা বাড়তে থাকে। পরিবার বলছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের বড় ভাই শাহ আলম বলেন, “আমার ভাইকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। তারা মনে করত, ভাই পুলিশ পাঠায়। আমি এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই, দোষীদের ফাঁসি চাই।”

নিহতের এক ভাতিজি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই চাচাতো ভাইদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। সেইসঙ্গে মাদকবিরোধী অবস্থানের কারণেও তিনি অনেকের চোখের কাঁটা হয়ে উঠেছিলেন।

এ ঘটনায় গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মুক্তাদির আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে ভুক্তভোগীর পরিবার এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।



banner close
banner close