সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

সিঙ্গাইরে খেলার মাঠ নিয়ে দুই গ্রুপের উত্তেজনা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৫৫

শেয়ার

সিঙ্গাইরে খেলার মাঠ নিয়ে দুই গ্রুপের উত্তেজনা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া
ছবি বাংলা এডিশন

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর মাধবপুর এলাকায় একটি খেলার মাঠকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ও হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চর মাধবপুর খেলার মাঠটি প্রায় ৫০-৬০ বছর আগে স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাঠটি আংশিক ব্যক্তিমালিকানাধীন ও ক্রয়কৃত জমির ওপর গড়ে উঠলেও দীর্ঘদিন ধরেই এটি এলাকার সাধারণ মানুষের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাঠের নাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে দ্বন্দ্ব নতুন করে সামনে আসে। একটি পক্ষ দাবি করছে এটি ‘চর মাধবপুর খেলার মাঠ’, অন্য পক্ষ বলছে এটি ‘মাধবপুর খেলার মাঠ’। এই নাম নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস, মন্তব্য ও পোস্টের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

এরই জেরে সোমবার বিকেলে উভয় পক্ষ শতাধিক লোকজন নিয়ে মাঠে জমায়েত হয় এবং দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দেয়। উপস্থিত ছিল পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তারা, কিন্তু তাদের সামনেই এই প্রকাশ্য মহড়ায় অংশ নেয় উত্তেজিত লোকজন।

চর মাধবপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, দুই পক্ষের এই দখল ও নাম নিয়ে দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষ চরম ভীত-সন্ত্রস্ত। শিশু-কিশোরদের জন্য মাঠটি গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কেউ বলেছেন, মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ হলে তা বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতিতে রূপ নিতে পারে।

মাঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিবুর সরদার বলেন, “মাঠে আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া আমার পূর্বপুরুষেরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কয়েক বিঘা জমি কিনে চর মাধবপুর মাঠের নামে রেজিস্ট্রি করেন। এরপর থেকে মাঠটি খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মাঠের নাম পরিবর্তনের দাবি করছে একটি মহল। সোমবার মাঠটি দখল নিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মহড়া দেয়।”

শান্তিপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বাসুদেব সিনহা বলেন, “আমাদের সামনে কোনো অস্ত্রের মহড়া হয়নি। তবে কয়েকশো লোকজন উপস্থিত ছিল। ঘটনার পর থেকেই মাঠ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।”



banner close
banner close