নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমিতে আওয়ামী লীগ নেতার বহুতল ভবন নির্মাণের তথ্য সংগ্রহকালে সমন্বয়ক পরিচয়ে সাংবাদিকের পেশাগত কাজে বাঁধা ও ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে মানহানি করায় তীব্র প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
আজ সোমবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ওই তিন সাংবাদিক।
সৈয়দপুরের সাংবাদিক মো. জহুরুল ইসলাম খোকন অভিযোগ করেছেন, রবিবার (২৯ জুন) একটি বিভ্রান্তিকর ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে, যা ‘এসআরএস’ নামক এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি অনেকে যাচাই না করেই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করেছেন, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
তিনি জানান, শহরের নিচু কলোনী এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ও দুই সহকর্মী এম এ করিম মিস্টার (দৈনিক মানব জমিন) এবং এম আর রাজু আহমেদ (দৈনিক ঘোষণা) স্থানীয় রেলওয়ে জমিতে গড়ে ওঠা একটি অবৈধ বহুতল ভবনের অনুসন্ধানে যান। সেখানে এক যুবক নিজেকে ‘সমন্বয়ক’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে উগ্র ও অবমাননাকর আচরণ করে। ঘটনাস্থল ত্যাগের পর ওই যুবক তাদের কথোপকথনের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় এবং সাংবাদিকদের ‘ভুয়া’ আখ্যা দেয়।
পরে জানা যায়, ঐ যুবকের নাম সজিব, যিনি স্থানীয় মইন ড্রাইভারের ছেলে এবং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতাকে সহায়তা করছিলেন। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেও সে একই অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
খোকন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা না জেনে ভিডিওটি শেয়ার বা মন্তব্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যুবকের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া য়ায়নি।
আরও পড়ুন:








