মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জুম্মার দিন মসজিদে মাদক বিরোধী বক্তব্যের জেরে সুলতানপুর মধ্যপাড়া মসজিদের ইমামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে দুইজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন সুলতানপুর গ্রামের জুয়েল খানের ছেলে মোঃ জুলহাস (২২) ও রায়হান (১৯)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার বড় কামদিয়া এলাকার কবির শেখের ছেলে মুফতি মিরাজুল ইসলাম গত ৮ মাস আগে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মধ্যপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। মাঝে মধ্যে শুক্রবার জুমা’র নামাজে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বয়ান করলে স্থানীয় কিছু মাদকসেবীদের রোষানলে পরেন। মসজিদ কমিটিকে মুফতি মিরাজুল ইসলাম চাকুরি হতে অব্যাহতির আবেদন করে জুমার নামাজ শেষে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে জুলহাস ও রায়হান শারীরিকভাবে তাকে হেনস্তা করে।
মুফতি মিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি মাঝে মাঝে শুক্রবার জুমার নামাজের বয়ানে মাদকের ভয়াবহতা, কুফল ও ইসলামে মাদক ব্যবহারের শাস্তি বিষয়ে কথা বলায় কিছু স্থানীয় যুবক তার উপর ক্ষিপ্ত হয় অনেকদিন আগে থেকেই। এ বিষয়টি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলমত খাঁ কে বিষয়টি অবগত করি।
ইমামের ইমামতির শেষ দিন থাকায় গত শুক্রবার (২৭ জুন) হামলাকারীরা আগে থেকেই তাকে নজরদারিতে রেখেছিল বলেও তিনি দাবি করেন । বাড়ি যাবার পথে তাকে গতিরোধ করে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। বিষয়টি প্রথমে মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে ও পরবর্তীতে রোববার হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলমত খাঁ জানান, গত ৮ মাস ধরে ইমাম সাহেব আমাদের মসজিদে ইমামতি করেছেন। ব্যাক্তিগত কারণে আমাদের মসজিদে চাকুরি ইস্তফা দিয়ে নিজের বাড়ি ফরিদপুরের উদ্দ্যেশে রওনা দেওয়ার পথে তার কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে যাওয়া ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে জুমার নামাজের বয়ানে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ ক্ষিপ্ত সে বিষয়ে জানালে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হতো।
হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, “এ ঘটনায় ইমামের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রোববার মামলা রুজু হয়েছে। ওই মামলায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:








