সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

সিলেটে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্রী, সাড়ে তিন মাসেও হদিস নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ জুন, ২০২৫ ০৯:৩৬

আপডেট: ৩০ জুন, ২০২৫ ০৯:৩৮

শেয়ার

সিলেটে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্রী, সাড়ে তিন মাসেও হদিস নেই
নিখোঁজ হাবিবা জান্নাত তামান্না। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া হাবিবা জান্নাত তামান্না নামের এক কলেজছাত্রীর সন্ধান না মেলায় পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। নিখোঁজের প্রায় সাড়ে তিন মাস পার হলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। পরিবারের দাবি, হাবিবাকে পরিকল্পিতভাবে গুম করা হয়েছে।

নিখোঁজ হাবিবা জান্নাত তামান্না বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজানা গ্রামের বাসিন্দা, মৃত দিনমজুর নিজাম উদ্দিনের মেয়ে।

পরিবারের অভিযোগ, হাবিবার বান্ধবী তাছলিমা জান্নাত ও তার মা এবং ভাইয়ের সহযোগিতায় তাকে গুম করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত ২৬ জুন বিয়ানীবাজার থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাবিবার বড় বোন রাহেলা আক্তার।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দাখিল পড়ার সময় থেকেই হাবিবার সঙ্গে একই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল বাছিতের মেয়ে তাছলিমা জান্নাতের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

রাহেলা আক্তার জানান, গত ২২ জানুয়ারি সকালে তাছলিমার ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় হাবিবা। এরপর তাছলিমার মা হাবিবার ভাই হায়াত আহমদকে ফোন করে কিছুদিন তাদের বাড়িতে হাবিবাকে রাখতে চান। এরপরও ১৪ মার্চ পর্যন্ত হাবিবার সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ছিল। তবে ১৫ মার্চ থেকে সে নিখোঁজ।

হাবিবার খোঁজ না পেয়ে স্বজনরা তাছলিমাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, তারা সবাই বাড়ি ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেছেন। তাদের অবস্থান সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা সমছ উদ্দিন, আজাদ উদ্দিন ও খলিলুর রহমান জানান, তাছলিমার পরিবারের লোকজনের কোনো খোঁজ মিলছে না। এমনকি তাছলিমার বাবা কুয়েত প্রবাসী আব্দুল বাছিতও জানেন না তার স্ত্রী-সন্তানের অবস্থান।

তাছলিমার চাচা জুনেল আহমদ বলেন, পারিবারিক কারণে তার ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। কোথায় তারা আছে, তা তিনি জানেন না।

কুড়ারবাজার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজের পর আমরা স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করেছি। ব্যর্থ হয়ে পরিবারকে আইনি সহায়তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে অভিযুক্তদের মুঠোফোন ট্র্যাকিংসহ প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান চলছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উজ্জামান বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। দ্রুত নিখোঁজ কলেজছাত্রীর সন্ধান পেতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



banner close
banner close