সম্প্রতি লালমনিরহাট বিমান ঘাঁটি পুনরায় চালুর কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডা. মোহাম্মদ ইউনুস। এমন ঘোষণার পর থেকে মাথায় আগুন জ্বলে উঠে মোদীর। এরপর বাংলাদেশ নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'।
এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে লালমনিরহাটে ষড়যন্ত্র কোষছে 'র'। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি ও ইসলাম নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের ঘটনায় পিতা পরেশ চন্দ্র শীল ও ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীল কে আটক করেছে পুলিশ। তারা দু'জনেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের সদস্য।
তথ্য রয়েছে, 'র'-এর পরিকল্পনায় ও ইসকনের সহযোগিতায় লালমনিরহাটে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে সুবিধা নিতে মরিয়া ভারত। এরই পরিপেক্ষিতে ইতিমধ্যে কাজও শুধু করেছে তারা৷ ধর্মীয় দাঙ্গা লাগাতে সব ধরনের কাজ করছে 'র' ও ইসকন।
স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর কথা জানায় সরকার। এরপর থেকেই নানা ষড়যন্ত্রের ছককষছে ভারত সরকার। আমাদের ধারণা এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই লালমনিরহাটে ধর্মীয় দাঙ্গা লাগাতে হতদরিদ্র হিন্দু যুবকদের কাজে লাগাচ্ছে 'র' ও ইসকন।"
শুধু তাই নয় ইসকন সদস্য পিতা পুত্রের পর আবার নতুন করে রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে আরেক হিন্দু যুবক শ্রী বিপ্লব। একটি ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে গিয়ে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি 'পি কে রাজ রয়' থেকে রাসূল (সাঃ) কে ওইসব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। এরপর লালমনিরহাট সদরে তার বাসা ঘেরাও করে স্থানীয় জনতা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ ঘটনার ৩০ মিনিট পর তার নিজস্ব ফেসবুকে এসে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান শ্রী বিপ্লব।
তিনি বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে আপনাদের নবী-কে নিয়ে কথা বলা। আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি এটা ভুল করেছি। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন।
জানা গেছে, শ্রী বিপ্লব লালমনিরহাট সদরের টেলিপাড়া গ্রামের মৃত নারায়ণের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার ওই ফেসবুক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে পরদিন সকালে তাকে চট্টগ্রামে আটক করে সাধারণ জনতা।
এসবের মধ্যে দিয়েই লালমনিরহাট কে অস্থিতিশীল রাখতে চায় 'র'। তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা করছে দরিদ্র পরিবারের হিন্দু যুকবদের।
স্থানীয় মুসলিম নেতারা বলছেন চিকেন নেক তাদের ঘারের ওপরে হওয়ায় পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র পরিকল্পিত ভাবে দেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে।
এবিষয়ে লালমনিরহাট জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তারেক বলেন, লালমনিরহাটে ডা. ইউনুস যখন বিমানবন্দর বাস্তবতায়ন করবেন বললেন তখন থেকেই আমাদের অমঙ্গল কামী বন্ধু রাষ্ট্র তারা যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রথমে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার একটি অপচেষ্টা খুব বড় আকারে চালিয়েছিল ৫ আগস্টের পর পর সেই ঘটনার সূত্র এখানে আছে বলে আমি মনে করি।
ভারতের পরিকল্পনা বাস্তবতায়নে কাজ করছে ইসকন বলে মনে করেন সাবেক এই সেনাকর্মকর্তা ডেল এইচ খান। তিনি বাংলা এডিশন-কে বলেন, লালমনিরহাটে ইসকনের জড়িত থাকার যে ব্যাপারটা সেটা আমার কাছে প্রমাণসাপেক্ষ বলে মনে হচ্ছে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের যে পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা ক্যাম্পেইন চলছে যার মূল অস্ত্র হচ্ছে ধর্মীয় উস্কানি। এসব বিষয়ে সরকার-কে কৌশলগতভাবে মোকাবিলার কথা জানান তিনি"
স্থানীয়রা বলছেন লালমনিরহাট বিমানবন্দর ও চিকেন নেকের হুমকি থেকে বাঁচতেই 'র' পরিকল্পিত ভাবে দেশে একটি অস্থিতিশীল প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চায়। যার হাতিয়ার হয়েছে লালমনিরহাটের হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারের সদস্যরা। তবে "র" এর পরিকল্পনা বাস্তবতায়নে কাজ করছে প্রথম আলো সহ দেশের বেশ কিছু গণমাধ্যম। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত এসব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।"
আরও পড়ুন:








