জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) টিএসসি এলাকার সবার প্রিয় মুখ সোহাগ মামা ‘পুরো নাম সোহাগ হোসেন।’ বহু বছর ধরে তিনি এখানে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী সবার সঙ্গেই রয়েছে তাঁর আত্মিক বন্ধন। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি শিক্ষার্থীদের কাছে শুধু একজন চা বিক্রেতা নন, একান্ত আপনজন।
তবে সম্প্রতি তাঁর জীবন নেমে এসেছে এক কঠিন সঙ্কটে। হৃদযন্ত্রে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু সোহাগ মামার মতো স্বল্প আয়ের একজন মানুষের পক্ষে এই বিপুল অর্থ জোগাড় করা দুঃসাধ্য।
এই দুর্দিনে সোহাগের পাশে দাঁড়িয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল। মানবিক উদ্যোগ হিসেবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সোহাগের চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
রবিউল আউয়াল বলেন, “মানবতার জায়গা থেকেই আমি সোহাগ মামার পাশে দাঁড়িয়েছি। রাজনীতি কেবল স্লোগানে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোতেই তার প্রকৃত সার্থকতা খোঁজা দরকার।”
ছাত্রদল নেতা রবিউলের এই সহায়তার খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা সামাজিক দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা থেকে এমন উদ্যোগকে অভিবাদন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এটি রবিউল আউয়ালের প্রথম মানবিক সহযোগিতা নয়। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময় অসুস্থ বা বিপদে পড়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করেছেন।
সোহাগ মামার প্রতি এমন ভালোবাসা ও সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ নিঃসন্দেহে আমাদের শিক্ষা দেয় সম্পর্কের মূল্য আর মানবতার দায়িত্ব কখনো পেশা বা পরিচয়ের গণ্ডিতে আটকে থাকে না।
আরও পড়ুন:








