সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

ইন্দুরকানীতে ইউপি সদস্য ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ জুন, ২০২৫ ০৯:২৭

আপডেট: ২৮ জুন, ২০২৫ ০৯:৪২

শেয়ার

ইন্দুরকানীতে ইউপি সদস্য ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পশ্চিম চর বলেশ্বর গ্রামে দুর্বৃত্তদের বর্বরোচিত হামলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) ও তার ভাবি মুকুল বেগম (৪৫) নিহত হয়েছেন। হামলায় শহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪২) গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম চর বলেশ্বর এলাকার নিজ বাড়িতে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল ইসলাম চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক। তিনি মৃত মোসলেম আলী হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, রাতে মোবাইলে কথা বলার সময় ঘরের ভেতরে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিলে শহিদুল বাড়ির সামনে পুকুরপাড়ে যান। এ সময় ওতপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তার চিৎকার শুনে ভাবি মুকুল বেগম ছুটে এলে তাকেও কুপিয়ে ফেলে রাখে হামলাকারীরা। পরে শহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও উপর্যুপরি কোপানো হয়।

আহত তিনজনকে কাদাপানির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলেই শহিদুল ও মুকুল নিহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেহেনাকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়। শনিবার (২৮ জুন) সকাল পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।

ঘটনার পর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় পাঠায়। পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট现场 পরিদর্শন করেন।

নিহত শহিদুলের শ্যালক মিজান মাঝি জানান, রাজনৈতিক মামলায় আটক থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে শহিদুল কয়েক মাস আগে বাড়িতে ফিরেছিলেন। তবে কী কারণে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. মারুফ হোসেন বলেন, “ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”



banner close
banner close