শাহজাদপুরে পাবনার শ্রমিকদের উপর হামলা ও মালিক-শ্রমিক সমিতির স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে পাবনা থেকে ঢাকা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে, অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে আন্তঃজেলা যাতায়াতে।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল থেকে পাবনা থেকে কোনো বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি এবং ঢাকা থেকেও কোনো বাস পাবনায় আসেনি। ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পাবনা মোটর মালিক গ্রুপ, বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট আরও দুটি সংগঠন।
পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম বলেন, “শাহজাদপুরের একটি পরিবহন নিয়ম না মেনে আগেভাগেই ছাড়ে। এতে প্রতিবাদ জানালে আমাদের কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শাহজাদপুর মালিক-শ্রমিকরা নিয়ম ভেঙে যাত্রী পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করছে। বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসনিক কোনো সুরাহা হয়নি।”
জানা গেছে, পাবনা, ঈশ্বরদী, বেড়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুরসহ জেলাজুড়ে প্রতিদিন প্রায় দেড়শ বাস যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা-পাবনা রুটে চলাচল করে। কিন্তু শাহজাদপুর মালিক ও শ্রমিক নেতারা নিয়মিত এ রুটে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন।
পাবনার পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, শাহজাদপুরের মালিক-শ্রমিকরা চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুরের বাস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর এবার বেড়ার বাসগুলোও দখলের চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদ করায় বৃহস্পতিবার তাদের একাধিক বাস আটকে দেওয়া হয় এবং শ্রমিকদের মারধর করা হয়।
পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাদশা বলেন, “শাহজাদপুরের শ্রমিকরা বারবার কথা দিয়েও হামলা ও বাধা দেওয়া থেকে বিরত থাকছে না। প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ না পেলে বাস চলাচল ফেরানো সম্ভব নয়।”
ধর্মঘট কবে নাগাদ প্রত্যাহার হবে তা নির্ভর করছে প্রশাসনের পদক্ষেপ ও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ওপর।
আরও পড়ুন:








