মঙ্গলবার

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র টাঙ্গুগুয়ার হাওর জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭ জুন, ২০২৫ ১৪:৩০

আপডেট: ২৭ জুন, ২০২৫ ১৪:৩৩

শেয়ার

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র টাঙ্গুগুয়ার হাওর জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে
ছবি: বাংলা এডিশন

জানা যায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানছেন না হাউসবোট মালিক ও পর্যটকরা। অনিয়ন্ত্রিত হাউসবোট চলাচলে হিজল করচ গাছ নষ্ট হয়ে হুমকিতে পড়ছে হাওরের জীববৈচিত্র্য।

স্থানীয় ও পর্যটকরা জানান, ‘স্বচ্ছ পানি, মেঘালয় পাহাড় আর নীল আকাশের ওপর সাদা মেঘের খেলা এমন সৌন্দর্যের দেখা মেলে টাঙ্গুগুয়ার হাওরে। ১০০ কিলোমিটারের অধিক জায়গাজুড়ে দেশের সর্ববৃহৎ জলাভূমিতে এখন ভরা যৌবন। বর্ষাকালে এ টাঙ্গুগুয়ার হাওর সাজে অপরূপ রূপে। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা বিলাসবহুল হাউসবোট ও ছোট-বড় ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে হাওরে ঘুরতে আসেন। কেউ হিজল-করচের ভিতর দিয়ে নৌকা নিয়ে ঘুরাঘুরি করছেন। কেউবা আবার ওয়াচ টাওয়ারের ওপর থেকে লাফ দিয়ে পানিতে পড়ছেন। গলা ছেড়ে গান ধরেন কেউ কেউ।‘

এদিকে হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২১ জুন ১৩ নির্দেশনা জারি করে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ৫ নম্বর নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, হাওরে পর্যটকরা ঘুরতে এসে গাছকাটা, গাছের ডাল ভাঙা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না। অথচ পর্যটকরা হাওরে অবাধে হিজল-করচ গাছের ওপর উঠেন। গানের তালে হিজল-করচের ডাল ভেঙে হাওরের বিপর্যয় ডেকে আনছেন। অন্য নির্দেশনাও মানছেন না তারা।

২২ জুন ২৫ইং রাতে হাওর এলাকার প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশের ক্ষতি রোধে ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। সে নিষেধাজ্ঞাও মানছে না হাউসবোট মালিক ও পর্যটকরা।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাওর এলাকার প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের সংরক্ষিত এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।



banner close
banner close