যমুনা সেতুর পরিত্যক্ত রেলপথ অপসারণের কাজ শুরু করেছে সেতু বিভাগ। সেতুর যানজট নিরসন ও সড়কের প্রস্থ বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে সেতুর পূর্বপ্রান্ত টাঙ্গাইল অংশ থেকে নাট-বল্টু খুলে ফেলার মাধ্যমে কাজ শুরু হয়।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বাংলা এডিশনকে জানান, “সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং সেতু বিভাগ থেকে আলাদা দুটি চিঠির ভিত্তিতে পরিত্যক্ত রেলপথ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে মালামাল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”
চিঠিতে বলা হয়, যমুনা নদীর ওপর নতুন রেল সেতু চালু হওয়ায় পুরনো সেতুর রেলপথ পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। ফলে সড়কের প্রশস্ততা বাড়াতে রেলপথটি অপসারণ করা জরুরি। বর্তমানে সেতুর একটি লেনের প্রস্থ মাত্র ৬.৩ মিটার, যেখানে আদর্শ প্রস্থ হওয়া উচিত ৭.৩ মিটার। এর ফলে বিশেষ করে ঈদের সময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। অথচ পরিত্যক্ত রেলপথটি অপসারণ করলে অতিরিক্ত ৩.৫ মিটার জায়গা সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু চালুর মাধ্যমে ঢাকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়, ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এই দুর্ভোগের সমাধান হিসেবে সেতুর ৩০০ মিটার দূরে নির্মিত হয় দেশের দীর্ঘতম 'যমুনা রেল সেতু', যা চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে কার্যকর হয়। এরপর থেকে যমুনা সেতুতে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সেতু বিভাগ মনে করছে, রেলপথ অপসারণের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের গতি, নিরাপত্তা ও সুবিধা বহুগুণে বাড়বে।
আরও পড়ুন:








