ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আত্নগোপনে থেকেও প্রায় ১০ মাস যাবত অদৃশ্য ইশারায় ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছে চারজন ইউপি চেয়ারম্যান। যার ফলে ব্যহত হচ্ছ নাগরিক সেবা।
আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানরা হলেন- পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছমা আক্তার ও শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল। এসব চেয়ারম্যানরা হাসিনা সরকারের আমলে দাপটের সাথে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ আছে, ‘৫ই আগস্টে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর একাধিক হত্যা মামলার আসামি এসকল চেয়ারম্যানেরা দায়িত্বশীল দফতর ও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পলাতক থেকেও পরিচালনা করছে ইউনিয়ন পরিষদ।’
তবে ইতিমধ্যে আত্নগোপনে থাকা শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল ও শাহজাদাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আছমা আক্তার'কে দেরিতে হলেও দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন।
তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ও পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
অরুয়াইল ও পানিশ্বর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখানে প্যানেল চেয়ারম্যান থাকলেও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে আত্নগোপন থাকা চেয়ারম্যানদের ইশারায়।
এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিচালিত হতো চেয়ারম্যানদের নামের ব্যাংক হিসাবে। তারা অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়নের আয়ের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া গেলেও উত্তোলন করতে বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল অনেকেই।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, ইতিমধ্যে আত্নগোপনে থাকা শাহবাজপুর ও শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান'কে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:








