সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

শাহজাদপুরে ৩ মামলার আসামি পিআইও আবুল কালাম ৪ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জুন, ২০২৫ ১৩:০০

শেয়ার

শাহজাদপুরে ৩ মামলার আসামি পিআইও আবুল কালাম ৪ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত
পিআইও মো. আবুল কালাম আজাদ।

দুর্নীতির দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক তিনটি মামলার আসামি হয়েও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবুল কালাম আজাদ চার মাস ধরে অফিসে অনুপস্থিত। তারপরও কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছাড়াই তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার এমন ‘অদৃশ্য প্রভাব’ নিয়ে এলাকায় উঠেছে নানান প্রশ্ন।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, পিআইও আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ও ছেলে ফজলে রাব্বীর নামে ৪ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে। এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তারা। ১১ মার্চ দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে তাদের নামে তিনটি মামলা করেন।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ২০১৯ সালে শাহজাদপুরে যোগদানের পর থেকেই তিনি প্রভাবশালী এক সাবেক সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে বদলি সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় শাহজাদপুরেই থেকে যান এবং দুর্নীতির অভয়ারণ্য গড়ে তোলেন। ঘুষ, কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে অল্প সময়েই বিপুল সম্পদের মালিক হন তিনি। তার নামে রয়েছে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের প্রিমিও গাড়ি, যা ব্যবহার করে তিনি পাবনা থেকে শাহজাদপুরে যাতায়াত করতেন।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “পিআইও আবুল কালামের কারণে আমি নিজেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশা করছি।”

তবে আবুল কালামের বক্তব্য জানতে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার অফিসেও উপস্থিত ছিলেন না তিনি।

দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত একজন কর্মকর্তার মাসের পর মাস অনুপস্থিত থেকেও বহাল থাকা এবং কর্তৃত্ব ধরে রাখা প্রশাসনিক দুর্বলতা ও জবাবদিহিতার অভাবকেই স্পষ্ট করছে—এমন মত সচেতন নাগরিকদের।



banner close
banner close