র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের অভিযানে ছাপাখানায় বিপুল পরিমাণ নকল ব্যান্ডরোল, বিভিন্ন কোম্পানির বিড়ির প্যাকেটসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের রুহান প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া ব্যান্ডরোল ও বিড়ির প্যাকেটের বাজারমূল্য কোটি টাকার ওপর।
র্যাব সূত্র জানায়, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রুহান প্রিন্টিং প্রেসে সরকারি নকল ব্যান্ডরোল, আকিজ, সোনালী, গোপাল, মায়া বিড়িসহ বেশ কয়েকটি বিড়ির নকল প্যাকেট ছাপিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় মাহমুদুল হাসান মিলনের মালিকানাধীন রোহান প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালানো হয়। বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ জাল ব্যান্ডরোল, বিভিন্ন বিড়ির লেবেল ও প্যাকেট জব্দ করা হয়।
র্যাব সূত্র আরও জানায়, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেসের ম্যানেজারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সেখানে চারটি প্রেসে ও দুটি কাটিং মেশিনে এসব অবৈধ কর্মকান্ড প্রমাণ পায় র্যাব। জব্দ করা ব্যান্ডরোল ও বিড়ির প্যাকেটের বাজারমূল্য কোটি টাকার ওপর। এভাবে বিড়ির জাল বা নকল ব্যান্ডরোল ছাপিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বগুড়া সদরের বড় কুমিড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে প্রেস ম্যনেজার নজরুল ইসলাম, রাজাপুরের ফুলমিয়া প্রামাণিকের ছেলে জিসান ইসলাম, একই গ্রামের মৃত ইয়াসিনের ছেলে সাগর মিয়া এবং ডাকুরচক এলাকার ইনসান সরদারের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ।
বগুড়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এনামুল হক জানান, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রুহান প্রিন্টিং প্রেসে নকল ব্যান্ডরোল ছাপানোর অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের নকল ব্যান্ডরোল, বিভিন্ন কোম্পানির বিড়ির প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে গণনা শেষে বোঝা যাবে কত টাকার ব্যান্ডরোল ও বিড়ির প্যাকেট রয়েছে। প্রেস মালিকসহ আরও যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:








