শনিবার

১৪ জুন, ২০২৫
৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১৮ , ১৪৪৬

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অ নিরাপদ নৌ যানে ফিরছে মানুষ, ভোগান্তি চরমে

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ জুন, ২০২৫ ১৪:৫৫

শেয়ার

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অ নিরাপদ নৌ যানে ফিরছে মানুষ,
ভোগান্তি চরমে
দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র প্রবেশ ও বহির্গমনের পথ ইলিশা ঘাট।

বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঈদের ছুটি শুরুর আগের দিন থেকে ঈদের পরে প্রায় ৭–১০ দিন পর্যন্ত দেশের দক্ষিণের অন্যতম নৌ পথে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। আর এর পিছনে মরিয়া হয়ে উঠেছে অ অনুমোদিত নৌ যান মালিকরা। এবং তাদেরকে আড়ালে শেল্টার দিচ্ছেন ভোলা অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ জসিম। কর্মস্থলে ফিরতে ইলিশা ঘাটে ভিড় জমানো যাত্রীরা এমন মত প্রকাশ করেন। তারা বলেন ঈদ উপলক্ষে নৌ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত নৌ যানের ব্যাবস্থা করা দরকার ছিল, কিন্তু তারা অসদুপায় অবলম্বন করে অর্থের লোভের নিমিত্তে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছেন।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র প্রবেশ ও বহির্গমনের পথ ইলিশা ঘাট। এখানে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়েই দেশের মূল ভূ খন্ডের সাথে যুক্ত হতে হয়।

আজ শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ এমন চিত্র দেখা যায় ইলিশা ঘাটে। ঈদুল আজহার দির্ঘ ছুটি শেষে ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকায় ও চট্রগ্রামের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবি মানুষ । এদিকে লক্ষ্য করা গেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইকোনমিক শিল্প কারখানায় কর্মজীবিরা বেশি জড়ো হয়েছেন উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে কর্মে ফিরতে। তবে বে সরকারি ছুটি শেষের দিকে হলেও সরকারি ছুটি চলবে আরো দুদিন জেনেও যানজট ও ভোগান্তি এড়াতে কেউ কেউ পরিবার নিয়ে আগেই ফিরছেন।

ইলিশা ঘাটে অনুমোদিত নৌনযানের সংখ্যা কম বলে অনিরাপদ অ অনুমোদিত ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে, তবে অনিরাপদ এ নৌ যানের ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন সাধারণ যাত্রীরা।

এদিকে চট্রগ্রামের মির সরাইয়ে একটি পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিক সাদিয়া বলেন আমি এবারের ঈদের লম্বা ছুটি গ্রামে এসে মা বাবার সাথে করেছি, বিগত বছরের মত সড়কে ভোগান্তি হয়নি, তবে আসার সময় উত্তাল মেঘনা পাড় হতে মজু চৌধুরী ঘাটে ভোগান্তিতে পড়েছি এখন আবার যাবার সময় সেই মেঘনা পাড় হতে ইলিশা ঘাটে ভোগান্তিতে আছি। তবে ঈদ শেষে অতিরিক্ত নৌ যান দেয়া জরুরী ছিলো বলে জানান তিনি।

ঘাটে পার হতে অপেক্ষারত যাত্রী আলাউদ্দিন জানান অফিস খুলবে রবিবার তবুও নিরাপদে পৌছতে একদিন আগে যাচ্ছি এখানে এসে দেখি দির্ঘ সময় ধরে আমার মতো অনেক যাত্রী পাড়ের জন্য অপেক্ষা করছে। এখন ঝুঁকি নিয়ে অ নিরাপদ নৌ যানেই পাড়ি দিতে হবে হয়তো।

এ বিষয়ে ভোলা অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের ইনচার্জ মোঃ রিয়াদ হোসেন বলেন আমাদের এখানে ঈদ উপলক্ষে অনুমোদিত নৌ যান সীমিত থাকার কারনে নৌ যান বৃদ্ধি করা না গেলেও অনুমোদিত নৌ যান গুলোকে টাইম মেনটেইন না করে শুধু যাত্রী নামিয়ে দিয়ে তৎখনাৎ ফেরৎ এসে যাত্রী লোড করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যাত্রী নামিয়ে মজ চৌধুরী হাট ঘাটে কোন নৌ যান অপেক্ষা করতে পারবেনা সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে আসতে হবে।

অ বৈধ নৌ যান চলাচল ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধে আমরা যথেষ্ট পদক্ষেপ নিলেও স্বাভাবিকের তুলনায় এখন কয়েক শতগুণ যাত্রীর চাপ রয়েছে। আমারা যাত্রীদের অনিরাপদ নৌ যানে আরোহী না হওয়ার জন্য অনুরোধ করে ফেরীতে আরোহী হওয়ার আহবান করছি, তবে সাধারণ যাত্রীরা দ্রুত গন্তব্যে পৌছুতে অনিরাপদ নৌ যানে আরোহী হচ্ছে যাহা আমাদের কাম্য নয়। তবুও আমরা নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সহায়তায় অনিরাপদ নৌ যান আটক করছি জরিমানা করছি।

অনিরাপদ নৌ যান মালিকদের সাথে আমার টিআই এর অর্থনৈতিক যোগসাজশের কথাটি সঠিক নয় বলেও জানান তিনি

banner close
banner close