
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক কাছারি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় এ মামলা করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ঘটনার পর দিন দুপুরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন।
এর আগে সকালে ‘অনিবার্য কারণে’ কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মূল ফটকে ‘প্রবেশ নিষেধ’ লেখা একটি নোটিস টানানো হয়, ফলে আগত দর্শনার্থীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।
কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বলেন, “ঈদের ছুটিতে এক দর্শনার্থীর সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে পরবর্তীতে অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নজরদারিতে রয়েছে।”
জানা যায়, ৮ জুন এক দর্শনার্থী পারিবারিক সফরে কাছারি বাড়িতে যান। সেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং ফি নিয়ে গেটকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে ওই দর্শনার্থীকে অফিসকক্ষে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ১০ জুন তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে মিছিল থেকে উত্তেজিত একটি অংশ অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর চালায় এবং এক কর্মকর্তাকে মারধর করে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া সেনাবাহিনীর একটি টহলদল এবং শাহজাদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান পরিদর্শন করেন।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মামলা করার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী কাস্টোডিয়ান মামলা দায়ের করেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: