মঙ্গলবার

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৮ পৌষ, ১৪৩২

বিয়ে না পড়ানোয় ইমামকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ জুন, ২০২৫ ১৭:২৭

শেয়ার

বিয়ে না পড়ানোয় ইমামকে কুপিয়ে হত্যা
ছবি:বাংলা এডিশন

বিয়ে না পড়ানোর কারণে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ওসমান গনি মোল্লা (৬২) নামে এক ইমামকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল দশটার দিকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে সোমবার (০৯ জুন) দিবাগত রাত একটার দিকে মাদ্রাসার কক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিহত গনি উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি চন্ডিপুর সিকেবি রুস্তমিয়া আলিম মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী এবং কাজীপাড়া জামে মসজিদ এর ইমাম ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বৃদ্ধ মরিচ কাজীপাড়া এলাকার মৃত বদরুজ্জামান এর ছেলে শাহাদত হোসেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ময়মনসিংহ এলাকার জনৈক মেয়ের সঙ্গে। ঘটনার দিন রাতে চন্ডিপুর এলাকায় নিয়ে আসেন শাহাদাত হোসেন ও তার দুলাভাই ইয়াসিন আলী। তারা সিকেবি আলিম মাদ্রাসায় গনি মোল্লার কাছে গিয়ে শাহাদতের সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে পড়ানোর জন্য দাবি করেন। কিন্তু শাহাদাতের অন্যপক্ষের সন্তান ও স্ত্রী থাকায় ইমাম গনি তাদের বিয়ে পড়াতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহাদত হোসেন ও তার দুলাভাই ইয়াসিন আলী মিলে গনি মোল্লাকে দা দিয়ে কুপিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরে তার সাথে থাকা একটি ছেলে দৌঁড়ে চন্ডিপুর বাজারে চিৎকার করতে করতে বাজারের নৈশ প্রহরীকে অবগত করেন। খবর পেয়ে তারা আহত গণি মোল্লাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে আহত গনি মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মারা যান।

খবর পেয়ে রাতেই ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। গনি মোল্লার মৃত্যুর খবর এলাকায় জানাজানি হলে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষিপ্ত জনতা অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এবিষয়ে কথা বলতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে ফোন করলেও তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।



banner close
banner close