মঙ্গলবার

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৮ পৌষ, ১৪৩২

গাড়ি ফেরত চাইতে গেছেন : সাবেক এমপিকন্যা ডরিন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ জুন, ২০২৫ ১৫:২২

আপডেট: ১০ জুন, ২০২৫ ১৬:৩১

শেয়ার

গাড়ি ফেরত চাইতে গেছেন : সাবেক এমপিকন্যা ডরিন
ছবি:বাংলা এডিশন

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে একটি বহুতল ভবনের পার্কিং জোনে ল্যান্ড ক্রজার প্রাডো ব্যান্ডের একটি বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধান মিলেছে। গাড়িটি ভারতে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনার এমপির কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘’কুষ্টিয়াতে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের যেই গাড়ির সন্ধান মিলেছে, সেই গাড়িটি আমার বাবার’’। ‘’ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়িটির মালিক আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার’’। ‘’এই গাড়িতে করে আমিও আমার বাবা চলাফেরা করেছি। এই গাড়িটি আমাদের। আমাদের গাড়ি আমাদেরকে ফেরত দেয়া হোক। বাবার গাড়ি আমরা ফেরত চাই’’।

আনার এমপির কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন আরও বলেন, ‘’আমার বাবাকে হত্যার ঘটনা ঘটার পর থেকে আমাদের ওই গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। বিলাসবহুল গা‌ড়ি‌টি কা‌রো কা‌ছে বি‌ক্রি ক‌রিনি আমরা৷ গা‌ড়ি ফেরত পে‌তে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সহায়তা চাই’’।

এরআগে সোমবার (৯ জুন) রাতে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের ৮ তলা বিশিষ্ট সাফিনা টাওয়ার নামে ভবনের গ্যারেজে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়িটি পাওয়া যায়। গাড়ি থেকে গাড়ির কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। কালো রঙের গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো-ঘ ১২-৬০৬০’। কোটি টাকার গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নিহত আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখন ছুটি চলছে। অফিস খুললে বিআরটিএ থেকে গাড়ির বিষয়ে তথ্য চাওয়া হবে। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে গাড়িটির মালিক আনার নাকি অন্য কেউ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান তৎকালীন এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। ২২ মে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর শোনা যায়। তবে এখন পর্যন্ত তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ভারতীয় পুলিশ। পরে পুলিশ জানায়, এমপি আনারকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করা হয়। পরে সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয় খুনিরা।



banner close
banner close