
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াতেই হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়লেন যাত্রীরা। ট্রেনটিতে থাকা কক্সবাজারের যাত্রীরা নামতে গিয়ে পড়লেন কিছুটা বিপাকে।
ঈদযাত্রার শেষ দিন শুক্রবার সকালে এমন চিত্র দেখা গেল কক্সবাজার রেল স্টেশনে। যে যেভাবে পারছেন, ট্রেনে উঠে পড়ছেন। তাদের এমন তাড়াহুড়োর কারণ ট্রেনের দেরীতে আসা।
ঈদে বাড়ী ফেরার জন্য ছটফট করতে থাকা মানুষগুলোর টানা ২ ঘন্টা অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত ট্রেনটি এসে পৌঁছায় স্টেশনে। যে ট্রেনটি কক্সবাজার ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তা কক্সবাজার থেকে ছেড়েছে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে।
প্রবাল এক্সপ্রেসের চট্টগ্রামগামী যাত্রীদের একজন মো: শাহেদ বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৯ টায় এসেছি। এরপর থেকে অপেক্ষায় আছি। ট্রেনটি ১০:২০ এ ছাড়ার কথা থকলেও এখন সাড়ে ১২ টা বাজছে। আমরা প্রায় ১ হাজার মানুষ অপেক্ষায় আছি।
আরেক যাত্রী ইমরান বলেন, আগামীকাল ঈদ। ট্রেনটি আসার কথা ছিল সাড়ে ৯ টায়, তবে এসেছে সাড়ে ১১ টায়। ফলে আমাদের বাড়ী ফিরতে দেরী হচ্ছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনায় পড়ে। ফলে বিপর্যয় হয় কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ও সৈকত এক্সপ্রেসের সময়সূচি।
কক্সবাজার রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী বলেন, ভোর সাড়ে ছয়টায় কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসটিই যেহেতু প্রবাল এক্সপ্রেস হয়ে চট্টগ্রাম ফিরে যাবে তাই সৈকত এক্সপ্রেস দেরিতে পৌঁছানোর কারণে প্রবাল এক্সপ্রেস এর শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।
দুর্ঘটনাজনিত কারণে এমন বিপর্যয় হয়েছে উল্লেখ করে রব্বানী আরও বলেন, গত তিন চার মাসে এমন বিপর্যয় আর হয়নি। গতকাল রাতের দূর্ঘটনার কারণে রেল লাইন মেরামতে কিছুটা সময় লাগে। প্রবাল এক্সপ্রেসের পরিবর্তীত সময়সূচীও যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। যেন যাত্রীদের ভোগান্তি কম হয়। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে রেল কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: