
একটি সালিশি বৈঠকের ছবি ছড়িয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দলটি তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এমন দাবি করেন। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ‘বিএনপি নেতা ফয়সাল ছাত্রদল, যুবদল করে এ পর্যায়ে এসেছে। দুষ্কৃতকারী মহল একটি সালিশি বৈঠকের ছবি দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে হাইকমান্ডের কাছে ভুল বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে। গত ১৫ বছর তিনি দলের দুঃসময়ে নির্যাতিত, ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুরভিসন্ধিমূলক প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমরা এই দুষ্কৃতকারীদের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
গোলাম মোমিত ফয়সাল বলেন, ‘২০২০ সালে আমার ব্যবসার একটি বড় অংকের টাকা ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার এক ব্যবসায়ী জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের চেষ্টা করে। এ নিয়ে ২০২০ সালের ৭ জুলাই কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি জিডি করি। জিডি করার তিন দিন পর ২০২০ সালে ১০ জুলাই জুমার নামাজের পরে কোম্পানীগঞ্জে একটি সালিশি বৈঠক বসে। সেখানে বৈঠকে যেতে আমাকে বাধ্য করা হয়। আমি চেয়েছি জিডির সূত্র ধরে বৈঠকটি কবিরহাট থানায় হোক। ওই বৈঠকে আমার প্রতিপক্ষের হয়ে প্রভাব বিস্তার করতে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত উপস্থিত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘তখন আমি বিএনপির নেতা হওয়ার কারণে আমার ন্যায্য পাওনা টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হই। প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীর যোগসাজশে সালিশি বৈঠকে একটি ছবি তোলা হয়। সেই ছবি নিয়ে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অপপ্রচার করছে। তারা ছড়াচ্ছে ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনি প্রচারণায় ছিলেন বিএনপি নেতা। অথচ সেই ছবিতে তিনজন মানুষ ছিলেন। যেখানে ভোটের প্রচারণার বিন্দুমাত্র রেশ ছিলনা এবং তৎকালীন সময়ে কোনো ভোটের সময় ছিলোনা। ২০২০ সালের ওই ছবি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ছড়িয়ে মিথ্যাচার করছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলনে, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি অনলাইনে সংবাদ করানো হয়। এরপর গোপনে বিভিন্ন নেতাদের হোয়াটস অ্যাপে সংবাদের লিংক পাঠানো হয়। প্রকৃত পক্ষে কল্পনাপ্রসূত এ অভিযোগ অনৈতিক ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অথচ বিশ্ববাসী জানে নোয়াখালীতে গত ১৫ বছর ওবায়দুল কাদের প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতি করেছে এবং রাতের ভোটে এমপি হয়।’
আরও পড়ুন: