
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের টানা ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। এতে করে ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হতে পারে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে কোরবানির ঈদের পরে পর্যটক বরণে সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে কোরবানি ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি।
তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের বিপণন ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ নুর সোমেল বলেন, ‘ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি মিললেও কক্সবাজারের পর্যটন জমবে মাত্র পাঁচদিন। কেননা ৫-৬ জুন কোরবানির পশু কেনায় ব্যস্ত থাকবেন লোকজন। ঈদের দিন তো বাসায় সময় কাটাবেন। ঈদের পরেরদিন মেহমান সামলাতে হবে অনেককে। এজন্য বাইরে বের হওয়া সম্ভব হবে না তাদের। ৯ জুন থেকে বেড়াতে বের হবেন ভ্রমণকারীরা। সেভাবেই কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল বুকিং হচ্ছে।’
তিনি জানান, ‘৯ থেকে ১৩ জুন কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বাড়বে। এরইমধ্যে তারকা হোটেলগুলোতে ৫ থেকে ৮ জুনের জন্য রুম বুকিং নেই বললেই চলে। তবে ৯ থেকে ১৩ জুনের বুকিং আসছে বেশি। এ সময় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বুকিং হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাব ও ট্যুরস অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘ভ্রমণকালে ভোগান্তি এড়িয়ে নিরাপদ অবকাশ যাপনে পছন্দের হোটেল-মোটেল-কটেজে আগাম বুকিং দেন পরিচ্ছন্ন ভ্রমণপিয়াসীরা। ঈদুল আজহাতেও তেমনটি হচ্ছে। বৃষ্টি-রোদের খেলায় কোরবানির ঈদেও পর্যটন ব্যবসা চাঙা হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সবার লক্ষ্য পর্যটকদের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করা।’
এদিকে, পর্যটকদের ভিড় সামলানো ও ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলা প্রশাসন ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অতীতে কোরবানির ঈদে ১০ দিন ছুটির নজির নেই দেশে। তবে ঈদুল ফিতরে ১১ দিন সরকারি ছুটির শেষ পাঁচদিনে কক্সবাজার সৈকত ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১০ থেকে ১২লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতেও দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: