
সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।একইসঙ্গে তাকে স্থায়ী জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
তিনি জানান, এ মামলার এফআইআরে মিন্টুর নাম নেই। তিনি আদালতে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেননি। এসব বিবেচনায় হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছেন। এর আগে সোমবার (২ জুন) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছর ১২ মে আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয় তার বাবাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে। পরের মাসে, ১১ জুন ২০২৪ সালে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর চিত্র। গ্রেপ্তার করা হয় আরও কয়েকজন তাদের মধ্যে রয়েছে, শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব, তানভীর ভুইঁয়া, সিলিস্তা রহমান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু।
এরপর এমপি আনার হত্যার ঘটনায় মোড় নেয় আন্তর্জাতিক রহস্যে। ২০২৪ সালের ১৮ মে ভারতের কলকাতার বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজ হয়েছেন জানিয়ে জিডি করেন তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।
৪ দিন পর, ২২ মে, কলকাতার নিউটাউন এলাকার ‘সঞ্জীবা গার্ডেনস’ নামে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে পাওয়া যায় রক্তমাখা আলামত। ওই রুমেই খুন হন আনোয়ারুল আজীম এমন তথ্য জানায় ভারতীয় পুলিশ।
তবে, এখনও উদ্ধার হয়নি তার মরদেহ। ঘটনার দিনই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন ডরিন।
তদন্তে বাংলাদেশ-ভারতের গোয়েন্দা সমন্বয়
মামলাটি এখন তদন্ত করছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পাশাপাশি ভারতের পুলিশও জড়িত রয়েছে তদন্তে। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে অনুসন্ধান চলছে আনার হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে।
আরও পড়ুন: