
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নে এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে অবৈধভাবে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিএনপির সাবেক নেতা বাবর আলীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তের প্রভাবশালীতার কারণে আইনি ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাগ্রস্ত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা শ্রমিকের কাজের কারণে বাড়ির বাইরে থাকেন এবং মা কাজ করেন ধানের চাতাল ও অন্যের বাড়িতে। এই সুযোগে বাবর আলী তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, গত রমজানের আগে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন বাবর আলী।
সম্প্রতি তরুণীর গর্ভধারণের বিষয়টি প্রকাশ পেলে বাবর আলী গোপনে গর্ভপাত ঘটানোর উদ্যোগ নেন। তিনি ওষুধ সরবরাহ করার পাশাপাশি ২৯ মে অসুস্থ তরুণীকে প্রথমে বেলকুচির একটি ক্লিনিকে এবং পরে সিরাজগঞ্জ মাতৃসদনে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভপাত করিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
ঘটনার বিষয়ে বেলকুচি থানার উপপরিদর্শক আইনুল হক বলেন, “সংবাদ পেয়ে আমরা তরুণীর বাড়িতে গেলেও সেখানে তাকে পাইনি। তার মা অভিযোগ করেছেন, ইউপি সদস্য বাবর আলীর ধর্ষণের কারণেই মেয়ের গর্ভধারণ হয়।”
পুলিশ মামলা করার পরামর্শ দিলেও তরুণীর মা জানিয়েছেন, তাঁরা স্থানীয় মুরব্বিদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
অভিযুক্ত বাবর আলী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মেয়েটি অসুস্থ হওয়ায় তাকে চিকিৎসা নিতে সহযোগিতা করেছি মাত্র। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পাশে ছিলাম। এখন উল্টো আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।”
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: