সোমবার

২ জুন, ২০২৫
১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
৭ , ১৪৪৬

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হল বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১ জুন, ২০২৫ ০৬:০৭

শেয়ার

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হল বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে
দুই নেতাকে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ।

রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।

শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নগরীর পায়রা চত্বর থেকে তাদের তাদের যেতে দেয়া হয়। এর আধা ঘণ্টা আগে সেখানে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সাথে কথা বলেন।

এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর পায়রা চত্বরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ সেনাবাহিনী। এ সময় দুইপাশের রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদেরকে ফোন দিয়ে কোথায় আছে জানতে চাওয়া হয়। তারা পায়রা চত্বরে আছেন বলে জানালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে চলে আসেন। পরে তারা সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে হামলাকারীদের পরিচয় জানতে চান।

ইমতিয়াজ বলেন, ভিডিও যাদের দেখানো হয়েছে তারা মোটামুটি আমাদের লোকজন ছিল। তাদের হাতে তেমন কোন দেখা যায় নাই। তাদেরকে আমরা চিনতে পেরেছি। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি তারা আমাদের কমিটির এই, ছোটভাই বা স্টুডেন্ট। কিন্ত তাদের হাতে কোন ধরনের অস্ত্র বা লাঠিসোটা ছিল না।'

ঘটনাস্থলে আসেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুকে। এ সময় শামসুজ্জামান সামু বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদেরকে এখানে ডাকা হয়েছে। তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন সেদিনের হামলার ঘটনায় কেউ জড়িত কিনা। এবং কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। এখান থেকে একজনকে সনাক্ত করেছি। এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দলের কেউ জড়িতে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, জিএম কাদের এখানে এসে নেতাকর্মীদের সাথে মিটিং করছিলেন। আমরা মনে করি এটি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার একটি প্রক্রিয়া। ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনকারীরা এটা মেনে নিতে পারে না। তাদের বিক্ষোভে জিএম কাদেরের সমর্থকরা বেশি অস্ত্র লাঠি সোটা দিয়ে আগে হামলা করে। পরবর্তীতে তাদেরই কেউ জিএম কাদেরের বাসায় হামলা করেছি কিনা, নাকি অন্য কেউ করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে হতে পারে।

৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, কেউ যদি তার ব্যক্তিগত চরিতার্থ বাস্তবায়ন করতে চায় কিন্ত সেটা যদি দেশের মানুষের অমঙ্গল হয় সেটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুন্দর চোখে দেখবে না। আমাদের কাজ হচ্ছে শান্তি রক্ষা করার চেষ্টা করা এবং কেউ এই ধরনের খারাপ কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। কারা কারা করেছে তাদের সনাক্ত করার জন্য এসেছিলাম। দুটো দলেরই যারা কর্ণধার তারা কথা দিয়েছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করেছে যে এরা তাদের দলের। তারা যা বহন করছিল তা বহন করার কথা না। তারা চিহ্নিত করেছে এবং আগামীকালকে আমাদের কাছে নিয়ে আসবে। তারা আমাদেরকে কথা দেবে তারা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এমন কিছু করবে না যেটা মানুষের শান্তির বিরুদ্ধে যায়।

banner close
banner close