ছাত্রদলের ৭ নেতাকর্মী কারাগারে।
সিরাজগঞ্জ সদর ও রায়গঞ্জ উপজেলায় পৃথক অভিযানে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ, ভিজিডি ও অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের ৭১ টন চাল জব্দ করেছে যৌথবাহিনী। রায়গঞ্জে ৭ জন ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করা হলেও, সিরাজগঞ্জ শহরের অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে সেনা ক্যাম্পের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন, খাদ্য বিভাগ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় রায়গঞ্জে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর: ৬৫ টন চাল উদ্ধার:
সেনাবাহিনীর সিরাজগঞ্জ ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার এস বি ফজলুল হক রোডের মালসাপাড়ায় অবস্থিত মেসার্স নর্থ বেঙ্গল ফ্লাওয়ার মিলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গুদামে মজুদকৃত ৬৫ টন সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়, যা হতদরিদ্রদের বরাদ্দকৃত ছিল।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন জানান, “উদ্ধারকৃত চাল দিনভর পরিমাপ করে সরকারি গুদামে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় মিল মালিক কিংবা সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় মিল মালিক ইয়াকুব আলীসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
রায়গঞ্জ: ৬ টন চালসহ ছাত্রদলের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার:
অপরদিকে, একই সময়ে রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের চিরামপুর এলাকায় আরেকটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ৬ টন সরকারি চাল জব্দ এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, নিমগাছি অনার্স কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন, সহসভাপতি আইয়ুব আলী, সোনাখাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল মতিন ও তাদের সহযোগী ফিরোজ এবং ইমরান।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বাংলা এডিশনকে বলেন, "সরকারি চাল জব্দ এবং অবৈধ মজুদের অভিযোগে আটক সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।"
চাল ছিল হতদরিদ্রদের বরাদ্দ:
উল্লেখ্য, উদ্ধারকৃত চালগুলো ভিজিএফ, ভিজিডি এবং অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ ছিল, যা অবৈধভাবে কিনে গুদামে মজুদ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
