ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম বাদল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যত চলছে একজন অনুপস্থিত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায়। আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম বাদল নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকলেও পরিষদ চলছে তার অদৃশ্য ইশারায়।
স্থানীয় কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্বে থাকলেও ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানের কথামতো। এতে পরিষদের কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিচ্ছে, যার ফলে সাধারণ জনগণ সেবা পেতে সমস্যায় পড়ছেন।
অন্যদিকে, পরিষদের আর্থিক কার্যক্রমেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। চেয়ারম্যানের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ইউনিয়নের আয় ও ব্যয়ের হিসাব পরিচালিত হওয়ায়, তিনি অনুপস্থিত থাকায় আয় করা অর্থ ব্যাংকে জমা দেওয়া গেলেও তা উত্তোলনে বিঘ্ন ঘটছে। ইউপি সচিব জানিয়েছেন, এই কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল কুদ্দুস জানান, চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় অফিসে আসছেন না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষরের জন্য সদস্যদের ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হচ্ছে। বিশেষ করে চেক বইয়ে স্বাক্ষর করাতে হলে তাকে খুঁজে বের করতে হয়, যা বেশ ঝামেলার।
সচিব আরও জানান, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে পরিষদের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনায় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পুরো পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউনিয়নের এই অচলাবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছি। শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান নিয়মিত অফিস করেন না, তাই আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছি।”
আরও পড়ুন:
