রবিবার

২৫ মে, ২০২৫
১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
২৮ জিলক্বদ, ১৪৪৬

হাতীবান্ধায় চুরি মামলায় জামিন নিয়ে প্রতিপক্ষকে হামলা ও দোকান ভাংচুর

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫ মে, ২০২৫ ১৯:১৬

শেয়ার

হাতীবান্ধায় চুরি মামলায় জামিন নিয়ে প্রতিপক্ষকে হামলা ও দোকান ভাংচুর
ছবি : বাংলা এডিশন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতায় চুরি মামলায় জামিন নিয়েই প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে সাগর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে উপজেলার বড়খাতা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত দোকান মালিক রহমত আলী(৫০) সাত জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাগর (২৫), জসিম (২৮), হাফিজুল ইসলামের ছেলে মুন (২৭), শাহেদুল ইসলামের ছেলে আজাদ (৩৭), রাজু (৩২), শফিকুল ইসলামের স্ত্রী জরিনা বেগম (৫০) ও মোশাররফ হোসেনের ছেলে মানিক (৩৭)।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ মাস আগে রহমত আলীর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় সাগরের নামে একটি মামলা হয়। চুরি মামলায় জামিন নিয়েই আজ সাগর ও তার লোকজন রহমত আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্রসহ অনধিকার প্রবেশ করে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় সাগর তার গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তার পকেটে থাকা এক লাখ টাকা এবং দোকানে থাকা আনুমানিক দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

পরে স্থানীয়রা আহত ব্যবসায়ী রহমত আলীকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।রহমত আলী জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করে আসছি। পূর্বের কিছু বিরোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ এই হামলা চালায়।বাজারের লোকজন না থাকলে তাকে প্রানে মেরে ফেলতো বলেও এসময় তিনি দাবী করেন।

স্থানীয় ছালাম জানায়, কিছুদিন আগে রহমত আলীর দোকান চুরি হয়েছিলো সেই চোর চক্র আজ আবার তার উপর হামলা চালিয়েছে। প্রতিপক্ষ রহমতকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে গিয়ে সেই আঘাতে নিজেদের দু'জনের মাথা ও নাক ফেটে যায়। পরে উল্টো তারাই বাদী হয়ে রহমতের নামে থানায় অভিযোগ করে।তবে সাগরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুন-নবী বলেন, লিখিত এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

banner close
banner close