
ছবি : বাংলা এডিশন
খাল ও জলাশয় ভরাট করে ব্যক্তি স্বার্থে বিশাল অট্টালিকা উঠছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন আনাচে কানাচে। অথচ সরকারি আইনে তা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও আইনকে তোয়াক্কা না করে চলছে এসব অবৈধ ভরাট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাল দখল এখানে নতুন কিছু নয়। ব্যক্তি স্বার্থে যে যেভাবে পারছে ভরাট করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেই যাচ্ছে। অথচ দু'একটা দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও অনেকাংশেই নীরবতা পালন করছে উপজেলা প্রশাসন।
দখলদারত্বের হাত থেকে রক্ষা না পাওয়া শতবর্ষী একটি খালের অবস্থান সরাইল সরকারি কলেজের পাশ্ববর্তী স্থানে। এক সময়ে এই খাল দিয়ে নৌকা চলাচলের কথা মুরুব্বিদের মুখে মুখে থাকলেও বর্তমানে তা বিলীন হওয়ার পথে। একদিকে দীর্ঘ কয়েক যুগে খনন না করা অন্যদিকে দখলদারদের দখলের ফলে প্রাণ হারাতে বসেছে এ খালটি।
সম্প্রতি এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে জানার পরে খালটি পরিদর্শনে এসেছিলেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন। পরিদর্শন শেষে তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে খাল খননের বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের আশ্বাস দেন তিনি।
অথচ লোকচক্ষুর আড়ালে নীরবে নিভৃতে সরাইলের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাল দখলদারদের কবলে। পরিকল্পনা ছাড়াই এসব খাল ভরাটের ফলে বর্ষা মৌসুমে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা, অনেক সময়ে প্লাবিত হয় এলাকা।
স্থানীয় সুশীল সমাজের মতে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে পদক্ষেপ নেওয়া এবং অতিদ্রুত সরাইল উপজেলার খালগুলো'র প্রাণ ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
আরও পড়ুন: