মঙ্গলবার

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৮ পৌষ, ১৪৩২

সর্বশেষ
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার দাবি মেহেরপুরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত এক তারেক রহমানের আগমন ঘিরে বিমানবন্দর এলাকায় পোশাক কারখানা নিয়ে সতর্কতা বিজিএমইএর বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী বৈলগাঁও চা বাগানে সাড়ে ৪ লাখ কেজি চা উৎপাদনের পরিকল্পনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনে ঐক্যের বার্তা, প্রার্থী হিসেবে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে সমর্থন বিএনপির সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ধামরাইয়ে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ছাত্রদলের আনন্দ শোভাযাত্রা তারেক রহমানের নিরাপত্তা: উদ্বেগ থাকলেও শঙ্কিত নয় বিএনপি

চরে হঠাৎ জোয়ারের পানি, মৃত অবস্থায় ৩৪ গরু উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ মে, ২০২৫ ০৯:১২

শেয়ার

চরে হঠাৎ জোয়ারের পানি, মৃত অবস্থায় ৩৪ গরু উদ্ধার
জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানার বিশাল স্তূপের নিচে একের পর এক গরু মরে ভেসে উঠছে।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীবেষ্টিত ভাটি বলাকী গ্রামে ভয়াবহ এক ঘটনায় কচুরিপানার চাপে ৩৪টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে খালে ভেসে আসা কচুরিপানার স্তূপের নিচে চাপা পড়ে একের পর এক গরুর প্রাণহানিতে গোটা গ্রাম জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক পরিবার।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে হোসেন্দী ইউনিয়নের মেঘনা চরাঞ্চলের ভাটি বলাকী গ্রামের খালে ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে গ্রামের কৃষকরা তাদের গরুগুলো চরে ঘাস খাওয়ানোর জন্য খোলা মাঠে ছেড়ে দেন। তবে দুপুর গড়িয়ে গেলেও গরুগুলো বাড়ি ফিরে না আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন গরুর মালিকেরা। একপর্যায়ে খালের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানার বিশাল স্তূপের নিচে একের পর এক গরু মরে ভেসে উঠছে। খবর পেয়ে গ্রামবাসী ছুটে এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। তখনই স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্ষতির ভয়াবহতা।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজন জানান, ঘটনাস্থলে এসে যে দৃশ্য দেখেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। একের পর এক গরুর মরদেহ ভেসে উঠছিল। যারা গরু হারিয়েছে, তাদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় রয়েছেন গ্রামের এমার ২টা, মহাসিনের ৪টা, ইয়ানুরের ৩টা, মাসুমের ১টি, ওয়াহিদুজ্জামানের ১টা, রনির ১টা, নাহিদের ৩টা, হেলানির ১টা, হানিফার ২টা, মনার ২টা, শরীফের ৩টি, তরিকুলের ২টা, কবির খানের ৩টা, আবুল হোসেনের ৩টা, জামালের ১টা, শাহাজালালের ৩টা, রসুল গাজীর ১টা। সব মিলিয়ে প্রায় তিন ডজন গরুর প্রাণহানি ঘটেছে। গরু হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন গরুর মালিকরা।

স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনায় পুরো গ্রাম শোকস্তব্ধ। গরুগুলো ছিল অধিকাংশ পরিবারের একমাত্র সম্বল। এখন এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া তাদের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিষয়ে গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আরও পড়ুন:

banner close
banner close