
নোয়াখালীর সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে পল্লী চিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন রাফি (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলতাক রয়েছেন অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক শাহীন (৬০)।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় মারা যায় রাফি। এর আগে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রাফিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেয় চিকিৎসকরা।
মৃত রাফি অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আলিপুর গ্রামের আজাদের ছেলে। তিনি কবিরহাট সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। আর অভিযুক্ত শাহীন একই এলাকার সুজায়েত উল্যার ছেলে।
রাফির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে অশ্বদিয়া সোলেমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল রাফি। ওই সময় একজনের হাত লেগে রাফির বন্ধু রুমনের ঠোঁট ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। পরবর্তীতে খেলার মাঠ থেকে রুমনকে নিয়ে চাঁনমিয়া মোড়ের পল্লী চিকিৎসক শাহীনের কাছে নেওয়া হয়। কিন্তু শাহীন রুমনকে চিকিৎসা দিতে অপারগতা দেখালে তার সঙ্গে উপস্থিত সবার বাগবিতণ্ডা হয়।
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাফির সঙ্গে শাহীনের হাতাহাতি হয়। এর মধ্যে শাহীন পার্শ্ববর্তী চা দোকান থেকে একটি ছুরি নিয়ে রাফির গলায় আঘাত করে। এতে রাফির গলার ধমনী কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে তাকে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার প্রথমে কুমিল্লায় তার মৃত্যু হয়।
সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। নিহতের পরিবার মামলা করবে। অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসককে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: