
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৮১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করার ১৬ দিনের মাথায় হাত-পা ও বোতল বেঁধে নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে ত্রিপুরা সীমান্তের ফেনী নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে রামগড়ের সীমান্তবর্তী ফেনীর সোনাইপুল এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের প্রশাসনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- উমেদ আলী (৪২), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫), তিন কন্যাসন্তান সুমাইয়া (৮), রুম্পা (১২) ও রুমি (১৫)।
ভারতের হরিয়ানা থেকে ধরে এনে নদীতে ফেলে দেয় বলে জানান তারা। রাতভর নদীর পানিতে ভেসে ভোরে ফেনী নদীসংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তের ফেনীরকুল এলাকায় পৌঁছান বলে ভাষ্য ভুক্তভোগীদের।
রামগড় সীমান্তবর্তী ফেনীর কূল গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, সকাল ৬টার দিকে ভেজা কাপড়ে নারী ও শিশুসহ ওই পাঁচজনকে দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেওয়া হয়। পরে মহামুনি বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা এসে তাদের আটক করে।
ভুক্তভোগী উমেদ আলী বলেন, আমরা হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতাম। রাতে ভারতীয় সিআইডির লোকজন গিয়ে বাড়ি থেকে আমাদের ধরে এনে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ আমাদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। বাংলাদেশের তীরে পৌঁছার পর গ্রামবাসী আমাদের উদ্ধার করে। এ সময় সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা-পয়সা, কাগজপত্র সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে বিএসএফ।
রামগড় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসমত জাহান তুহিন বলেন, মানবিক কারণে তাদের পাঁচজনকে রামগড় হাই স্কুলে বিজিবি ও পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা বাংলাদেশি বলে দাবি করছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৮১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে ভারতীয় বিএসএফ।
আরও পড়ুন: