শুক্রবার

২৩ মে, ২০২৫
৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
২৫ জিলক্বদ, ১৪৪৬

১২০ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২২ মে, ২০২৫ ১৬:৪৭

আপডেট: ২২ মে, ২০২৫ ১৮:৫৯

শেয়ার

১২০ কোটি  টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি
বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে ৫৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে ৫৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। বৃ্হস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুরে অবস্থিত বিজিবির ৫৮ ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্য গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য আনুমানিক ১১৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা টাকা।

মদের বোতলে ভেঙে ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর পুড়িয়ে নষ্ট করা হয় ১৩০ কেজি ৯৫১ গ্রাম গাজা, হেরোইন ৩৬ কেজি ৭৯১ গ্রাম। এবং রোলার দিয়ে ৩৮ হাজার ৯৮০ বোতল বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, ২৫ হাজার ৮১৩ বোতল ফেন্সিডিল, এলএসডি ২৯ বতোল, কোকেন ৭৮ কেজি ৯৪০ গ্রাম, ক্রিস্টাল মেথ আইস ৬ কেজি ২৮৯ গ্রাম, ইয়াবা ৬৫ হাজার ৯৭৪ পিচ, ট্যাপেন্টাডল ৩ হাজার ৭০ পিচ, ভায়াগ্রা ২১ হাজার ৩১৬ পিচ, ভারতীয় ঔষধ ৯ হাজাত ৮৪৫ পিচ ও বাংলাদেশী ঔষধ ৯ হাজার ৯৬০ পিচ নষ্ট করা হয়।

৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল আলম, পিএসসির সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির যশোর রিজিওন সদর দফতরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পিএসসি। বিশেষ অতিথ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আহসান হাবীব পিএসসি জিপ্লাস।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিজিবির ৫৮ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু হানিফ মোহাম্মদ সিহানুক।

ধ্বংস কার্যক্রম শেষে ৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল আলম (পিএসসি) বলেন, ৫৮ বিজিবি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। অত্যন্ত ক্ষতিকর মাদকের প্রভাব থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা নিরলস ভাবে অব্যাহত রয়েছে।

কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আহসান হাবীব পিএসসি জিপ্লাস বলেন, এদেশের বিশাল সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান প্রতিরোধ করা বিজিবির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। আমরা আমাদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব হিসেবেও মনে করি।

বিজিবির যশোর রিজিওন সদর দফতরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পিএসসি বলেন, যশোর রিজিওনে মোট ৭ টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষাই হলো বিজিবির মূল দায়িত্ব। এই কাজের পাশাপাশি চোরাচালান প্রতিরোধের অংশ হিসেবে বিজিবি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। এই মাদকদ্রব্য যদি ভারত থেকে না আসতো তাহলে সবচে ভালো হতো। ভবিষত্যে ভারত থেকে যেন মাদকদ্রব্য না আসে সেই উদ্যোগটা বেশি জরুরী বলে আমি মনে করি।

২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি অংশের ১০৪ দশিমিক ৪ কিলোমিটার সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য জব্দ করে ৫৮ বিজিবি।

banner close
banner close