মঙ্গলবার

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৮ পৌষ, ১৪৩২

সর্বশেষ
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার দাবি মেহেরপুরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত এক তারেক রহমানের আগমন ঘিরে বিমানবন্দর এলাকায় পোশাক কারখানা নিয়ে সতর্কতা বিজিএমইএর বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী বৈলগাঁও চা বাগানে সাড়ে ৪ লাখ কেজি চা উৎপাদনের পরিকল্পনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনে ঐক্যের বার্তা, প্রার্থী হিসেবে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে সমর্থন বিএনপির সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ধামরাইয়ে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ছাত্রদলের আনন্দ শোভাযাত্রা তারেক রহমানের নিরাপত্তা: উদ্বেগ থাকলেও শঙ্কিত নয় বিএনপি

লালমনিরহাটে ক্ষতিপূরণ ও অবৈধ দখলমুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ মে, ২০২৫ ১৬:২৯

আপডেট: ২২ মে, ২০২৫ ১৬:২৯

শেয়ার

লালমনিরহাটে ক্ষতিপূরণ ও অবৈধ দখলমুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 
ক্ষতিপূরণ ও অবৈধ দখলমুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা এলাকার বাসিন্দা মোঃ আইনুল হক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে একটি জমি মামলা নিয়ে চরম হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হন। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৯ মে তারিখে আদালতের রায়ে আপিল খারিজ হওয়ার মাধ্যমে তিনি ন্যায়বিচার লাভ করেন। এ ঘটনায় তিনি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মোঃ আইনুল হক লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার জমির মূল মালিক ছিলেন ত্রৈলক্ষনাথ ভট্টাচার্য ও কাশীমোহন ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে ত্রৈলক্ষনাথের স্ত্রী কুসুম কুমারী দেব্যা ১৯৫৫ সালে ২ একর জমি মোঃ ফোরকান উল্লাহর নামে পাট্টা দলিল দেন, যার একটি দাগ ৪১৮৭ ছিল। ঐ দাগে থাকা পারিবারিক শিবমন্দিরের ৪ শতক বাদ দিয়ে বাকি ২৪ শতক জমি ফোরকান উল্লাহ ভোগ করেন এবং সেই জমি পরে ফজলুল হক ও আইনুল হক ১৯৭৪ সালে দলিল মূলে মালিকানা অর্জন করেন।

২০০৮ সালে রনজিৎ মোহন্ত, কালীপদ সেন ও পুতুল সেন নামে তিন ব্যক্তি এই জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। মামলা চলাকালীন এক সময় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক শহিদ এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহির তাহু আপসের কথা বলে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য সাময়িকভাবে ২-৩ শতক জমি ব্যবহার করার অনুরোধ করেন। লিখিত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পূজা শেষে জমি ফেরত না দিয়ে দখলে নিয়ে সেখানে স্থায়ী ঘর নির্মাণ শুরু করে দেন অভিযোগকারীরা।

মামলার দীর্ঘ কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালে মূল মামলায় আদালতের রায় মোঃ আইনুল হকের পক্ষে আসে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা পরবর্তীতে জেলা জজ কোর্টে আপিল করেন এবং আপিল চলাকালীন সময়েও একাধিকবার অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যান। এমনকি ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখে।

অবশেষে ১৯ মে ২০২৫ সালে আপিল মামলায়ও আদালত বাদীদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

মোঃ আইনুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “১৬ বছর ধরে আমি হয়রানি ও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। মামলার খরচ, নিরাপত্তা ও সামাজিক সম্মানহানির মুখে পড়েছি। এখন আমি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আমার জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”



আরও পড়ুন:

banner close
banner close