লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রেহানা খাতুন নামে ৭ বছরের এক শিশুকে যৌনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সৎ মা কোহিনুর বেগমের (৫০)বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎমা কহিনুর বেগম কে আটক করেছে পুলিশ। আর গুরুতর আহত ওই শিশু কে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়, অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ২০ মে মঙ্গলবার সন্ধার আগে ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনিগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে কহিনুর বেগম কে আটক করে পুলিশ। আটক কহিনুর বেগম ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ট্রাক চালক রবিউল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয়রা বলেন দুই বছর আগে শিশুটির মা ডিভোর্স নিয়ে চলে যায়। আর এই কারনে রবিউল কহিনুর বেগম কে বিয়ে করেন। পেশায় ড্রাইভার হওয়ায় কাজের সুবাদে বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন।এই সুযোগে সৎমা শিশুটির উপর দিনের পর দিন অমানবিক নির্যাতন চালায়।গতকাল বিকালে স্থানীয়রা শিশুটির কান্না শুনে গিয়ে দেখতে পান শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক, পরে তারা ৯৯৯ ফোন দিলে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু টিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন,শিশুটি কে বেশ কিছু দিন ধরে অবরুদ্ধ রেখে শারিরীক নির্যাতন চালায়,আজকে এলাকাবাসী থানা পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে,আমি চাই সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এই মহিলার বিচার হওয়া উচিত।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, শিশুটির শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।পাশাপাশি শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মাহমুদুন নবী বলেন এঘটনায় সৎমাকে আটক করা হয়েছে,আমরা সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা করবো এবং যা যা করা যায় তাই করবো।
আরও পড়ুন:








