
ছবি : বাংলা এডিশন
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে কোস্টগার্ড সদস্যদের সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ ও অস্ত্র, ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে অভিযানিক দল কোস্টগার্ড।
সোমবার সকালে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত তুলাতলি ফিশিং ঘাঁটে উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয়। আটক তিন মাদক কারবারি হচ্ছে-উখিয়া উপজেলার আওতাধীন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো.ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও আব্দুল শক্কুর (৪০)। এর মধ্যে আব্দুর শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়। সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
সোমবার দুপুরের দিকে এবিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ। তিনি বলেন সাগর পথে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা একটি ইয়াবার চালান বাংলাদেশ উপকুলে প্রবেশ করবে।
উক্ত গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী রোববার দিবাগত রাত থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন সাগর উপকূলীয় এলাকার বেশ কয়েকটি পয়েন্ট অবস্থান নেয় কোস্টগার্ডের অভিযানিক দলের সদস্যরা। এরপর ভোর ৫ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় অবস্থিত ফিশিং ঘাঁটে অভিযানে যায়।
এরপর গভীর সাগর থেকে আসা একটি ফিশিং ট্রলারকে সন্দেহ হলে উক্ত ট্রলারটিকে থামানোর জন্য সংকেত দিলে ট্রলারে থাকা পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ট্রলারের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়লে কোস্টগার্ড সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর ফিশিং ট্রলারটি গতিরোধ করা হয়। ট্রলারটি তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল,৪ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ এক কারবারিসহ তিন জনকে মাদক কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে চার জন মাদক কারবারি কৌশলে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মাদক কারবারি আব্দুর শুক্কুর কক্সবাজার সদর হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উক্ত ঘটনায় জড়িত আটক ও পলাতক মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য জব্দকৃত অস্ত্র, মাদকসহ আটক মাদক কারবারিদেক টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান কোস্টগার্ড এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: