সোমবার

১৯ মে, ২০২৫
৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
২২ জিলক্বদ, ১৪৪৬

‘বিয়ারিং কাজ না করায়’ খুলে যায় উড়োজাহাজের চাকা : বিমান কর্তৃপক্ষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২৫ ১৯:০৮

শেয়ার

‘বিয়ারিং কাজ না করায়’ খুলে যায় উড়োজাহাজের চাকা : বিমান কর্তৃপক্ষ
ছবি : বাংলা এডিশন

কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের চাকা মাঝ আকাশে খুলে পড়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ‘বিয়ারিং ফেইলিওর’ বা বিয়ারিংয়ের ত্রুটিকে দায়ী করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, চাকার বিয়ারিংয়ে ত্রুটির কারণে এটি খুলে পড়ে যায়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, ড্যাশ-৮৪০০ মডেলের উড়োজাহাজের চাকা খুলে পড়ার ঘটনায় প্রাথমিক পর্যালোচনায় চাকার বিয়ারিং ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে। এই ধরনের বিয়ারিং ত্রুটির কারণে চাকা বা টায়ার বিচ্যুত হতে পারে- যেমনটি ঘটেছে সম্প্রতি কক্সবাজার-ঢাকা রুটে।

ঘটনার পরপরই উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কানাডার ডি-হেভিল্যান্ড এয়ারক্রাফট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা বিশেষায়িত একটি কারিগরি দল ঢাকায় পাঠাচ্ছে, যা দ্রুতই এসে তদন্তে অংশ নেবে।

এর আগে, গত ১৬ মে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি-৪৩৬’ ফ্লাইট। উড়াল দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের পাশে থাকা একটি চাকা খুলে পড়ে যায়। ওই উড়োজাহাজে ৭১ জন যাত্রী এবং ২ জন ক্রু ছিলেন।

ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহ, যার ওড়ার অভিজ্ঞতা প্রায় আট হাজার ঘণ্টা। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার জায়েদ। উড্ডয়নের পর চাকা খুলে পড়ার বিষয়টি ক্যাপ্টেন জামিল দ্রুত বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC) সেন্টারে জানিয়ে দেন। এরপর ফ্লাইটটিকে ‘ইমার্জেন্সি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ওই সময় রানওয়েতে প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, জরুরি সেবা এবং নিরাপত্তা প্রটোকল। সব প্রস্তুতির মধ্যে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করে। পরে নির্ধারিত পার্কিং বে-তে উড়োজাহাজটি পৌঁছালে প্রকৌশলীরা নিশ্চিত হন, একটি চাকা (দুই নম্বর) না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে খুলে পড়া চাকাটি পাওয়া যায় কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়। উড়োজাহাজটি ছিল কানাডার ডি-হেভিল্যান্ড এয়ারক্রাফট কোম্পানির তৈরি ড্যাশ-৮৪০০ মডেলের।

banner close
banner close