ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকদের পুশ-ইনের ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খাটিয়ামারী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম বাংলা এডিশন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৬৩-এর সাব-পিলার ৩ এলাকার ভারতীয় জোরডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা রোহিঙ্গা নাগরিক ও কিছু ভারতীয় মুসলিম নারীকে বাংলাদেশের খাটিয়ামারী সীমান্তে পাঠিয়ে দেন। ওই সময় শূন্যরেখায় এক নারীকে দেখতে পান রৌমারী বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি টহল দল। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, তিনি ভারতীয় নাগরিক।
তিনি আরও জানান, বিজিবি সদস্যরা তাকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত কেউ গুলি ছোড়েনি। ফলে তাৎক্ষণিক সংঘর্ষ না হলেও দুই বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে ওই নারী সীমান্তেই অবস্থান করছেন। জানা গেছে, তিনি খাটিয়ামারী গ্রামের আনিছ জামালের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট বোন এবং আনিছ জামালের শ্যালিকা। তিনি ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করছেন।
এদিকে রোহিঙ্গা পুশ-ইনের ঘটনার একটি ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সীমান্তবর্তী খাটিয়ামারীসহ আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশের ভেতরে জড়ো হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুরের ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন রৌমারী কোম্পানি সদর ক্যাম্পের সুবেদার সোহেল রানা বাংলা এডিশন-কে বলেন, “ওই নারীর বাড়ি ভারতে, এটি সত্য। তবে তিনি দাবি করছেন, খাটিয়ামারীর এক ব্যক্তির স্ত্রী তিনি। তার স্বামী বর্তমানে জেলে রয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ওই নারীর বিষয়ে বিএসএফকে অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু বিএসএফ বলছে, তিনি ভারতীয় নন, বরং বাংলাদেশি নাগরিক। ফলে তারা তাকে গ্রহণ করেনি। এটি কোনো পুশ-ইনের ঘটনা নয়। এ নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে কোনো ধরনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়নি।
আরও পড়ুন:








