
সাভার আমিন বাজার রাজস্ব সার্কেলে সীমাহীন দুর্নীতি করে বর্তমানে পদায়ন হয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে। প্রাইজ পোস্টিং নিয়ে আমিন বাজার সর্বত্র জনগণের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। একজন দুর্নীতিবাজ এসিল্যান্ড প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তরিগরি করে আমিন বাজার রাজস্ব সার্কেল থেকে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে যোগদান করলেন। তার ব্যাপারে অজানা অনেক তথ্য ভুমি মন্ত্রণালয়ের কাছে অন্ধকার। আমিন বাজার রাজস্ব সার্কেল থেকে সদ্য বদলী হয়ে ক্যান্টমেন্টে যোগদান করেন মোঃ বাসিত সাত্তার।
সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়,বাসিত সাত্তারের সীমাহীন দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা বহিরাগত দালালদের মাধ্যমে এক সিন্ডিকেট, ঘুষ বাণিজ্য, যার মুল হোতাই ছিলেন এসিল্যান্ড নিজেই। হাতিয়ে নিয়েছেন নামজারী থেকে মোটা অংকের টাকা। সাধারণ নামজারীর সেবা তেমন কোন জনগণ পায়নি বললেই চলে। বেশিরভাগ নামজারীতে তিনি বসাতেন নতুন নুতন রেট, যা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। যতটুকু সময় আমিন বাজারে ছিলেন, যেমন যতগুলো নামজারী অনুমোদন হয়েছে যেমন কোর্ট অব ওয়ার্ডস (প) নামজারীতে প্রতিটা নামজারীতে তার রেট ছিল ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। এল এ আংশিক, পার্ট ভিপি, পাট-ক, খ তালিকা, রেকর্ড ফেল, ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশের অধিক নামজারীতে তিনি মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিতেন। দুদক ও ভুমিমন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নামজারীর ও মিস কেস আবেদন থেকে মোবাইল নং নিয়ে তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে মোঃ বাসিত সাত্তারের থলের বিড়াল।
সরকারি টাকা ভুমি মন্ত্রণালয় বরাদ্দের এসিল্যান্ড মোঃ বাসিত সাত্তার ভুমি মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা কিভাবে কোথায় খরচ করেছেন তার সঠিক হিসাব অজানা। তিনি সরকারি টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
মিস কেস রায়কে কেন্দ্র করে হাতিয়ে নিয়েছেন বাসিত সাত্তার কোটি কোটি টাকা। বাসিত সাত্তার বাদী-বিবাদীকে ভয় দেখিয়ে একতরফা রায় দিতেন যে পক্ষ টাকা বেশি দিত সেই পক্ষে রায় দিতেন। আর টাকাগুলোর দেন-দরবার করতো জায়েদ আল রাব্বি (নামজারী সহকারী) ও ওমেদার দালাল জসিম ও পলাশ।
এসিল্যান্ড অফিসে ওমেদার জসিমকে ছোট এ্যাসিল্যান্ড হিসেবে সবাই তাকে চেনে। এসিল্যান্ডের দালাল জসিমকে সবাই সেভাবেই সমীহ করে চলে। অতীতে সাবেক এডিসি (রাজস্ব) ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি জসিম ও পলাশকে সকাল ৮টায় এসে হাতেনাতে আটক করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। পরবর্তীতে দু’জন মুসলেকা স্ট্যাম্প দিয়েছিলো এবং নাকে খত খত দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলো ভুমি অফিসে তারা আর কখনও ঢুকবে না। কিন্তু কালের পরিবর্তে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে জসিম হয়ে যায় ছাত্র আন্দোলনের নামধারী। এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তারকে আমিন বাজার রাজস্ব সার্কেলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস সাপ্লাই দিয়ে ভাগিয়ে নেন তার জটিল জটিল নামজারী ও মিসকেসের রায় ও কয়েকটি ভিপি সম্পত্তি কয়েকশো কোটি টাকার।
এছাড়া এই জসিম এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তারের সরকারি আইডি টা সে নিজে অপারেট করতো বলে সূত্রে জানা যায়। ঘুষ-দুর্নীতি অনিয়ম করে বাগিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সরেজমিন উঠে এসেছে এসিল্যান্ড অফিসের তৃতীয় তলায় পাওয়া গেছে খাট-বিছানা ও খাস কামরা হিসেবে ব্যবহার করতো যেখানে এসিল্যান্ড মাঝে মাঝে বিভিন্ন ফাইলপত্র উন্মাদ হয়ে স্বাক্ষর করতো বলে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে।
আমিন বাজার রাজস্ব সার্কেলে বাসিত সাত্তার অবৈধ টাকা উপার্জন করে আবার উপর মহলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বর্তমানে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলে যোগদান বিষয়টি এখন সাভার-আমিনবাজারের জনগণের মাঝে টক অব দ্যা টাউন হিসেবে আলোচিত।
বেশিরভাগ নামজারী ভুমি উপ-সহকরী কর্মকর্তার আইডি থেকে প্রস্তাব গিয়েছে সার্ভেয়ার, কানুনগো তোয়াক্কা না করে তহশিল অফিস থেকে সিন্ডিকেটের আরেক মূল হোতা লিমন এর সহযোগী বিভিন্ন সময়ে বন্ধের দিনে সরকারি ছুটিতে প্রস্তাবপত্র দিতো বলে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: