
ছবি : বাংলা এডিশন
প্রায় ৯ মাস পর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম ও সাবেক নারী সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতাসহ আওয়ামী লীগের ৭৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
জানা গেছে, ১২ মে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হামিদুর রহমান তুষার বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে শাহজাদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
প্রধান আসামিরা হলেন:
সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, তাঁর বোন সাবেক এমপি মেরিনা জাহান কবিতা, কবিতার ছেলে সুমগ্ন করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কাজল, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মনির আক্তার খান তরু লোদী ও মোস্তাক আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সালাম ব্যাপারী, সদস্য মনসুর মোল্লা ও সালাম ফকির, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ হায়দার লিটন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশিকুর হক দিনার প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অংশ হিসেবে বিএনপি এবং ছাত্রদলপন্থী নেতা-কর্মীরা করতোয়া ব্রিজ এলাকায় মিছিল নিয়ে গেলে আসামিরা সেখানে বাধা দেন। এ সময় সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম আন্দোলন দমন করতে নির্দেশ দিলে তার অনুসারীরা লোহার রড, লাঠিসোঁটা, হাঁসুয়া, হাতুড়ি ও ককটেল নিয়ে মিছিলে হামলা চালান। এতে বাদীসহ কয়েকজন আহত হন। পরে হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান।
মামলাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: