
সাবেক ইউপি মেম্বার বজলুকে থামাবে কে? ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৭ বছরে যেভাবে মানুষের উপর জুলুম করে বিভিন্ন ব্যবসা দখল, পথে-ঘাটে নিরীহ মানুষকে মারপিট ও সরকারী জমি দখল করেছে ঠিক একইভাবে এখনো জমি দখলের অভ্যাসটা ছাড়তে পারেনি সে। জানাচ্ছি ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বজলুর রহমান মুন্সীর কথা। সেই কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সম্প্রতি সে কবিরপুর গ্রামের দেওয়ানপাড়ার একটি সরকারী রাস্তা জোর করে দখল করে মাঝখান দিয়ে আরসিসি পিলার স্থাপন করে রাস্তা বন্ধ করে শতাধিক গাছ রোপন করেছে। যার কারণে ওই গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কবিরপুর মৌজার ওই রাস্তাটি ১ নং খাস খতিয়ানের। যার সি এস ও এস এ দাগ নং ১৯১, আর এস দাগ নং ৩৯৭ ও বি আর এস দাগ নং ১২৮০। দেশের প্রচলিত ৪ টি রেকর্ডেই সরকারি খাস খতিয়ানের এবং শতাধিক বছর ধরে এটি জনসাধারণের চলাচলের একটি রাস্তা।
এর আগে সে একই মৌজার বি আর এস দাগ নং ১২৯৩ ও বি আর এস দাগ নং (১২৪৮/১২৮৬) এর রাস্তা দুটিও দখল করে গাছ লাগিয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে বজলু মেম্বার ১ নং খাস খতিয়ানের সরকারী পুকুর যার আর এস দাগ নং ১৯০ ও বি আর এস দাগ নং ২২১ এর বেশ কিছু অংশ ভরাট করে গাছপালা লাগিয়ে ভোগ জখম করে আসছে। ভূমিদস্যু বজলু অন্যের জুট ব্যবসা দখল ও জমি দখল করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় বানিয়েছে। বিএনপি নেতা কবিরপুরের আব্দুল হাই (জামাই) ৯ নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে ইলেকশন করায় বজলু একাধিকবার তাকে বাজারে রাস্তাঘাটে পিটিয়ে আহত করেছে। বজলু আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় তাকে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করেনি।
তখন একাধিক মারামারি ও দখলের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই এরকম নির্লজ্জ জালিয়াতি কাজ করায় বজলু মেম্বারকে এলাকার অনেকেই আইড়ের মাথা ও হাতি বজলু নামে ডাকে। আর সে কারণে সে একবার মেম্বার হয়ে পরে আর নির্বাচিত হতে পারেনি। ১৯৯৬ সাল থেকে আজ অবধি সে শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। ৫ আগস্ট এর পরে সে এলাকায় গা ঢাকা দিলেও এখন আবার তার দৌরাত্ম আগের চেয়ে অনেক গুণ বেড়েছে। সম্প্রতি তার এই রাস্তা দখলের ব্যাপারে কবিরপুরের কুদ্দুস মাস্টার(৭০), দেওয়ান রফিকুল ইসলাম(৬৬), আব্দুল মজিদ সিকদার(৭৫), দেলোয়ার সিকদার(৫৫), জলিল বেপারী(৭৫), খলিল বেপারী(৭০), নজরুল মিয়া(৫২), আকরাম হোসেন(৭৩), জৈনুদ্দিন সিকদার(৭৪), নাসির উদ্দিন (৭৬) দের সাথে কথা বললে তারা জানান এই রাস্তাটি তাদের বাপ দাদার আমল থেকেই চলাচল করে আসছে। বজলু মেম্বার জোর করে তাদের এই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। তার ভয়ে আমরা গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত।
রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার এই জুলুম থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে ১২ মে জনৈক জাকির হাসান শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে শিমূলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মোঃ কামরুজ্জামান কায়েদি সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: