
সামাজিক কর্মকান্ড এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রামের জন্য নিজ ইউনিয়ন জামির্ত্তা ছাড়াও সিংগাইর, হরিরামপুর তথা মানিকগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার আর একটি নাম ইঞ্জিনিয়ার আবু সায়েম।
তিনি বিগত ২০ বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সমাজের নানা অসংগতি বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেস্টা করে আসছেন। সর্বোপরি শহীদ রফিক সেতুর টোল বন্ধের জন্য একজন মহানায়ক হিসাবে ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
সকল অন্যায়, অসংগতির বিরুদ্ধে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও আবু সায়েম ছিলেন জনসাধারনের কন্ঠস্বর ও অকুতোভয় নির্ভীক সৈনিক।
তাঁর বাড়ী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের চাপড়াইল গ্রামে।
১৯৮৫ সালের ৫ই ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া এই মানুষটি মেধাবী হিসাবে ছাত্রবস্থায় ব্যপক সুনাম কুড়িয়ে ছিলেন। পেশায় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং,একজন প্রতিবাদী লেখক ও রাজনীতিবিদ।
বর্তমানেও রাজনীতির বাইরে তাঁর জনপ্রিয়তা সিংগাইরে মানুষের কাছে অনেক বেশি। শুধু সাধারন মানুষ নয় সব রাজনীতক দলের মানুষের মাঝে ও ইন্জিনিয়ার আবু সায়েম একটা ভালবাসার নাম।
আওয়ামী আমলে বিএনপির অনেক নেতা যখন বিএনপি নাম নিয়ে কথা বলতে ভয় পেতো তখনও তিনি জামির্ত্তা ইউনিয়নের তিন ফসলি জমিতে ইটের ভাটাস্থাপন এবং কৃষিজমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে জনসাধারণকে নিয়ে মানববন্ধন, মিটিং মিছিল করে আওয়ামী রাঘববোয়াল মাটি খেকোদের পিছুহটতে বাধ্য করেছিলেন।
২০২০ সালে ইটভাটাকর্তৃক নির্গত কালো ধোয়ায় জামির্ত্তা ও চান্দহর ইউনিয়নে প্রায় পাঁচশত বিঘা জমির ধান পুড়ে ছাই যায়। কৃষকদের ধানের ক্ষতিপূরণের জন্য দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেন। বাধ্য হয়ে তৎকালীন ইউএনও রুনা লায়লা ক্ষতিপূরণের জন্য কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করতে বাধ্য হয়। শত শত কৃষক তার অবদানেই ধানের ক্ষতিপূরণ পেয়ে উপকৃত হয়েছিলেন।
ধল্লেশ্বরী নদী দখল করে ঐ সময়ের আওয়ামী পন্থী ঝিনাইদহের এমপি নদী একটি পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করতে চেয়েছিলো। সেখানে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি শহীদসহ মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি মমতাজ বেগম সার্বিক সহযোগীতা করলেও সিংগাইরের দেশপ্রপমিক সাংবাদিকদের সহযোগীতায় আন্দোলন সংগ্রাম ও প্রতিবাদের দূর্গ গড়ে তুলেছিলেন।
বাধ্য হয়ে নদী খেকোরা জায়গা ছেড়ে পালিয়ে অন্যত্র চলে যায়। শহীদ রফিক সেতুর অদূরে সেই খালি জায়গা এখনো দৃশ্যমান।
২৫ বছর ধরে চলমান সিংগাইর শহিদ রফিক সেতুর টোল বন্ধে বিগত এমপিরা যেখানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সেখানে মানিকগঞ্জের প্রায় ২০ লাখ লোকের প্রাণের দাবী এই টোল বন্ধে ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আবু সায়েমের ডাকে গত বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর সিংগাইর,হরিরামপুর ও হেমায়েতপুরের সর্বোস্তরের ছাত্র জনতা, হেফাজত জামাত বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকদের সহ জনসাধারণকে সংঘঠিত করে লুৎফর মহাজন ও কফিলউদ্দিন চেয়ারম্যান কর্তৃক শহীদ রফিক সেতুর উত্তোলিত টোলের বিরুদ্ধে টোলপ্লাজা সংলগ্নস্থলে আন্দোলনে নেতৃত্বে দিয়ে দীর্ঘদিনের টোল নামক শোষণ থেকে মুক্তি দিতে প্রধান সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করেন।
স্থানীয় একাধিক গরু ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর বন্ধ থাকার পর উপজলোর জামির্ত্তা ইউনিয়নের চররাজনগর মানিকনগর পশুর হাট গত তিন বছর আগে বৈধ ইজারা নেওয়ার পরও মিলতে পারছিলো। শুধুমাত্র এমপি মমতাজের অবৈধ পশুর হাটকে টিকিয়ে রাখার জন্য যখন এই হাটটিকে পুলিশ দিয়ে জোরপূর্বক ভেঙ্গে দিয়েছিলো এমপি ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে হাটটিকে ইঞ্জিনিয়ার আবু সায়েম এলাকাবাসির সহযোগীতায় নিয়ে পশুরহাট বসতে সহায়তা করেন।
ইঞ্জিনিয়ার আবু সায়েম বলেন, বিএনপি রাজনীতির পাশাপাশি স্বৈরাচার শাসন আমল থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসছি।
তিনি আরো বরেন, জামির্ত্তা ইউনিয়নে হুটের মৌজার কৃষিজমি হতে সম্প্রতি জামির্ত্তা ইউনিয়নে এখনও আওয়ামী দোসরের লোক জন তিন ফসলি জমি থেকে মাটিকারা বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম ও মানব বন্ধন কর্মসূচি দিলে কিছু ভূয়া ও ফেক আইডি যেমন সত্যের সন্ধানে,বাংলা খবর, নামে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নানা মিথ্যা রটিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার নিজ দলের কিছু স্বার্থেন্বেষী মানুষের কাছেও নিগৃহীত হতে হয় যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: