
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
বুধবার ১৪ মে রাত ১১ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলায় বজ্রঝড় শুরু হয়। এ সময় রাত ১টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাট কড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিয়াদ হোসেন জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপির সিপাহি ছিলেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার আটাপাড়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
আহতরা হলেন- বিজিবির সদস্য হাবিলদার মো. জসিম, সিপাহি নাদিম, সিপাহি শাহীন সিপাহী আব্দুল্লাহ আল-মামুন এবং আনসার সদস্য ফেরদৌস হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে রৌমারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৫৬ এলাকার ছাটকড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে টহল দিচ্ছিল একদল বিজিবি। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কবলে পড়েন তারা। পরে বজ্রপাতে ৫ জন বিজিবির সদস্য ও একজন আনসার সদস্য গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
এ সময় রিয়াদ হোসেন নামের এক বিজিবির সদস্যের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকি দুইজন রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নবিউল ইসলাম জানান, ‘বজ্রপাতে এক বিজিবি সদস্যকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আরও দুই বিজিবি সদস্যের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাকিদের রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান জানান, ‘সীমান্তে টহল দিচ্ছিল বিজিবি সদস্যরা। এ সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে এক বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: