
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল মঙ্গলবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দেখা মেলেনি বৃষ্টির। বরং কাঠফাটা রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে।
গত রোববারের তুলনায় সোমবার ও মঙ্গলবার জেলার তাপমাত্রা অন্তত ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেও স্বস্তি মেলেনি জেলাবাসীর।
মঙ্গলবার বেলা তিনটায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার একই সময়ে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত রোববার একই সময়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে করে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে হিসেবে দুই দিনে জেলার তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বুধবার দুপুর ১২টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৪৬ শতাংশ।
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ। তীব্র তাপমাত্রার কানরণে জনজীবন প্রায় থমকে গেছে। খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ভ্যানচালকেরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার আকাশে মেঘ হচ্ছে কিন্তু বৃষ্টির উপযুক্ত যেই মেঘ সেটি হচ্ছে না যার ফলে বৃষ্টি হচ্ছেনা।’
বৃহস্পতিবার জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন জামিনুর রহমান।
আরও পড়ুন: