
কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম। এ সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে সরাসরি গ্রেপ্তারের হুমকি দিচ্ছেন। এ অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, আচরণবিধি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ছড়িয়ে পড়া অডিওতে শোনা যায়, ‘কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন নির্ধারিত কাগজপত্রসংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন, কিন্তু অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বারবার তার কথার মধ্যে বাধা দেন এবং রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, আমি আপনাকে এখনই গ্রেপ্তার করতে পারি।’ এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলখানার পেছনে আমাদের ডিসি পার্কের কাজ চলছিল। তারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে এসে জেল সুপারের নির্দেশে ভেকুওয়ালাকে মারধর করেছে। আমাদের স্টাফ যাওয়ার পর তাকেও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে এডিসি এবং এনডিসি ঘটনাস্থলে যান।
তিনি বলেন, এডিসি তখন এডিএমের দায়িত্বে ছিলেন। ওনার লোকজনকে নিয়ে এ কথাগুলো বলেছে। তখন জেল সুপার কথাগুলো রেকর্ড করেছেন। এবং রেকর্ড বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল করেছেন।
আরও পড়ুন: