
তীব্র তাপদাহে নীলফামারীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড রোদের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। মাঠে কাজ করতে পারছেন না কৃষিশ্রমিকরা। একই অবস্থা রিকশা ও ভ্যানচালকদের ক্ষেত্রেও।
অতিরিক্ত গরমে ঘন ঘন তৃষ্ণা লাগার পাশাপাশি শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্যে। এতে করে শরবতের দোকানে ভিড় বেড়েছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে নীলফামারী জেলায় মাঝারি ধরনের তাপদাহ বিরাজ করছে। শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দমমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
এরপর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান লোকমান হাকিম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ও রাতের শেষভাগে শীতল বাতাস, এই বৈপরীত্য পূর্ণ আবহাওয়া সাধারণ মানুষের শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ার মতো রোগ বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাপদাহের কারণে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাইরে বের হলে ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া, ডাবসহ তরলজাতীয় ফলমূল বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: