
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের দক্ষিন পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা। শনিবার চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে জেলাবাসীর জীবনযাপন।
শনিবার দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ২৯ শতাংশ।
আর দুপুর ৩ টায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১৬ শতাংশ।
বাতাসে আর্দ্রতা কমে আসায় জনজীবনে তীব্র গরমের প্রভাব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমন গরমের দাপটে শহর থেকে গ্রামীণ জনপদও নাজেহাল হয়ে পড়েছে। কৃষক-শহরের রিকশাচালক থেকে সাধারণ মানুষ সবার মুখে এখন একটাই কথা ‘এই গরম আর সহ্য হয় না।’
অসহ্য গরমে দুপুরে জেলার প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই দিনভর ঘরে থেকে গরম সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন। অতি প্রয়োজনে মানুষ ছাতা মাথায় অথবা রিকশায় চলাচল করছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, তীব্র গরমের কারণে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যায়। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। প্রতিদিনই গরমজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম দিক থেকে গরম হাওয়া প্রবেশ করার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই চুয়াডাঙ্গায়।
আরও পড়ুন: